—ফাইল ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য বিল পাশ হল বিধানসভায়। বুধবার বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয় অর্ধে পেশ করা হয় ভবানীপুর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বিল ২০২৪'। এই বিলের উপর বক্তৃতা করেন দক্ষিণ কাঁথির বিজেপি বিধায়ক অরূপকুমার দাস ও বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। শাসকদলের তরফে বক্তৃতা করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার এবং বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো।
কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ‘ভবানীপুর গুজরাতি এডুকেশন সোসাইটি’ নামে একটি কলেজ রয়েছে। ভবানীপুরে এডুকেশন বলেই লোকমুখে পরিচিত এই কলেজটি। সেই কলেজকেই এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দিল রাজ্য।
বাংলা রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছে, ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার অবাঙালি হিন্দুদের ভোট ভবানীপুরের ফ্যাক্টর। যে কারণে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা থেকে ১৭৬ ভোটে পিছিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভার পাঁচটি ওয়ার্ডে ভাল ব্যবধানে এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। ২০২১ সালে তৃণমূলের বিপুল জয়েও তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বেশ কিছু ওয়ার্ডের পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। পরে অবশ্য মমতার উপনির্বাচনে সব ওয়ার্ডে জয় পায় তৃণমূল। পুরভোটেও ভবানীপুরের আটটি ওয়ার্ডে ফুটেছে জোড়া ফুল। আবার লোকসভা নির্বাচনে ৭৩,৭৭ এবং ৮৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া বাকি পাঁচটি ওয়ার্ডে এগিয়েছিল বিজেপি। আর এ বার ভবানীপুরে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দিয়ে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরের অবাঙালি ভোটারদের বার্তা দিল তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy