Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Cyber Case

রাজ্যে বাড়ছে সাইবার অপরাধ, সতর্কতা বাড়াতে পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় হাই কোর্টের বিচারপতিরা

রাজ্যে কী ভাবে সাইবার প্রতারণার ছড়িয়ে পড়েছে সেই তথ্য তুলে ধরেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (সাইবার)। তিনি জানান, দেশে সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত নাইজেরিয়ানরা।

A photograph of WB judicial academy seminar

সাইবার জগতের এই সব নানা প্রতারণা চক্র সম্পর্কে সতর্ক করতে বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিল রাজ্যের পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:২৯
Share: Save:

রাজ্যে বাড়ছে সাইবার অপরাধের সংখ্যা। গত পাঁচ বছরে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সাইবার অপরাধ। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনা। এ ছাড়া আধার কার্ডের তথ্য, বিদ্যুতের বিল, ভুয়ো সিমকার্ড, কলসেন্টার, ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে চলছে প্রতারণা। সাইবার জগতের এই সব নানা প্রতারণা চক্র সম্পর্কে সতর্ক করতে বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিল রাজ্যের পুলিশ। রবিবার রাজ্য জুডিশিয়াল আকাদেমিতে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সম্পর্কিত অপরাধ ও ব্যাঙ্ক জালিয়াতি ধরন নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। এই সব অপরাধ ঠেকাতে পুলিশের সঙ্গে বিচারব্যবস্থা আরও এগিয়ে আসবে বলে জানান কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে অপরাধের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। সাইবার অপরাধ নিয়ে অনেক বেশি সজাগ থাকতে হবে। হিসাব বলছে দেশে প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে একটি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বিষয়টির উপর নজর রাখছেন। বিচারব্যবস্থা এবং পুলিশ একই মুদ্রার দুটো দিক। তাই দু’টি সংস্থাকেই এ নিয়ে যুক্ত থাকতে হবে।’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘সাইবার প্রতারণার চক্র কাজ করছে মিষ্টি, জামাকাপড়ের দোকানের অনলাইন লেনদেনেও।’’

ইন্টারনেট নির্ভর জীবনে সাইবার অপরাধের ঘটনা বেড়েই চলেছে। জাতীয় সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং (এনসিসিআর) পোর্টালের তথ্য বলছে, গত এক বছরে সাইবার জালিয়াতির প্রায় এক লাখের কাছাকাছি অভিযোগ জমা পড়েছে। খুবই কম সংখ্যক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে পুলিশ। তাই সাইবার অপরাধ নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকার প্রয়োজনের কথা জানান বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘তথ্যপ্রযুক্তি, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, সাইবার অপরাধ এবং সাইবার জালিয়াতি নামের সঙ্গে অনেকে পরিচিত হলেও সতর্ক নন। তথ্যচুরির ঘটনা আতঙ্ক তৈরি করে। তাই এর ব্যবহারিক দিকগুলি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই কর্মসূচি।’’

রাজ্যে কী ভাবে সাইবার প্রতারণার ছড়িয়ে পড়েছে সেই তথ্য তুলে ধরেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (সাইবার) হরিকিশোর কুসুমাকার। তিনি জানান, দেশে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত নাইজেরিয়ানরা। তবে কলকাতায় তারা কম সক্রিয়। এখানে জামতাড়া প্রশিক্ষিতরা কাজ করছে। ওই পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে সাইবার অপরাধের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই সময়ে প্রায় হাজারের কাছাকাছি এফআইআই দায়ের হয়েছে।’’ শহর কলকাতার একাধিক ঘটনার কথা উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা। আলোচনায় উঠে আসে শহরে এটিএম প্রতারণা থেকে অনলাইন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক কারচুপি। রবিবারের আলোচনাচক্রে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি মুখোপাধ্যায় ছাড়াও অংশ নেন আইনজীবী, পুলিশের বেশ কিছু সাইবার বিশেষজ্ঞ। উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE