নিজেদের আর্থিক অবস্থার দিকে সরকারের দষ্টি আকর্ষণ করতে চান পুলকার মালিকরা। গ্রাফিক্স - সনৎ সিংহ
১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই রাজ্য জুড়ে তোড়জোড় শুরু করেছে শিক্ষা দফতর। সেই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রায় পৌনে দু’বছর পর নিজেদের ধুলো জমে যাওয়া গাড়িগুলোকে রাস্তায় নামানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন পুলকার মালিকরা। করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালে মার্চ মাস থেকে আর গড়ায়নি পুলকারের চাকা। ফলে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। তবে গাড়ি মালিকদের বড় অংশই তাঁদের পুলকার চালাতে চান। তবে কিছু আর্জিও পেশ করেছেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার আগেই গত ৪ অক্টোবর নিজেদের পেশার তাগিদে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে একটি দাবিপত্র দিয়েছিল পুলকার মালিকদের সংগঠন, পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরের প্রশাসনিক বৈঠকে স্কুল খোলার নির্দেশ দিতেই আবারও নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে সক্রিয় হয়েছে সংগঠনটি। ১ নভেম্বর তাঁরা পরিবহণ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। দাবিপত্রে বলা হয়েছে, তাদের পারমিট তিন জেলার থেকে বাড়িয়ে রাজ্য জুড়ে করা হোক। সঙ্গে কর ছাড়ের দাবিও জানিয়েছেন পুলকার মালিকরা। এ ছাড়াও প্রতি দু’বছর অন্তর ‘সার্টিফিকেট অফ ফিটনেস’-এর যে পদ্ধতি রয়েছে, তাতে গাড়িটি নতুন করে রং করার যে বিধান রয়েছে, তাতে ছাড় চাওয়া হয়েছে।
কোনও পুলকার মালিক যদি কর দেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করেন, তাহলে জরিমানা দেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই জরিমানা মুকুব করার দাবিও করা হয়েছে। সঙ্গে পুলকার পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে কোভিড টিকা দেওয়ার দাবিও করা হয়েছে। ‘পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, ‘‘স্কুল খুললে আমরা অবশ্যই পুলকার চালিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি থেকে স্কুল ও স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছানোর কাজ করব। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনও শর্ত নেই। কিন্তু গত প্রায় দু’বছরে যে পরিমাণ ক্ষতি আমাদের হয়েছে, সেদিকে তাকিয়ে সরকারপক্ষ আমাদের দাবিগুলি বিবেচনা করে দেখুক, আমরা এটুকুই চাইছি।’’
প্রসঙ্গত, শনিবারই আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে স্কুল খোলা নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি স্কুলের পরিকাঠামোর জন্য বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করেছেন। এত দিন ধরে স্কুল বন্ধ আছে, ক্লাসঘরের অবস্থা কী রকম, সে বিষয়ে জেলাশাসকের মাধ্যমে আমরা রিপোর্ট আনিয়েছি। কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। দেশের মধ্যে একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে শিক্ষকদের দু’টি টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে এখনও নীতি ঘোষিত হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার পড়ুয়াদের নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয় বলেই মনে হচ্ছে। তার মধ্যেও দূরত্ব রেখে বসা, টিফিন পিরিয়ড ছোট করে দেওয়া, স্যানিটাইজ করা, এ সব করা হচ্ছে। স্থানীয় স্তরের জনপ্রতিনিধিরা স্কুলের সামনে গিয়ে স্যানিটাইজার দেবেন বলেও কথা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy