এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি ইস্যুতে এ বার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর চাপ তৈরি করা শুরু করল বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে একের পর বিবৃতি দিচ্ছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে শিল্পমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী। একই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। অধীরের লেখা চিঠিতে সরাসরি পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর দাবি করা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘‘রাজ্যের বর্তমান শিল্প-বাণিজ্য ও পরিষদীয় দফতরের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৪-২১ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, সেই সময়ই রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। আদালতের নির্দেশে সেই দুর্নীতি মামলার যে তদন্ত হচ্ছে, তা পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষই জানেন। তাই তাঁকে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করুন।’’
মুখ্যমন্ত্রীর ওপর চাপ বাড়িয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেছেন, ‘‘মহাসচিব শব্দটি না বলে মহাচোর বলা যায়। মদন মিত্র যখন গ্রেফতার হয়েছিল তখন মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, আমরা সবাই চোর। এখন চোরেদের সর্দারের অধীনে ছোট চোর, বড় চোর, মাঝারি চোর, মহাচোর তৈরি হয়েছে। নামে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট বা মহাসচিব রেখে দেয়। তাতে কি এসে যায়? ওগুলো তো ডাকনাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ‘শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল’। বলা হচ্ছে দল যুক্ত নয়। এমন এক জনকে আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন তৃণমূল বলেছিল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। পরে তাঁকেই তো আবার মুখপাত্র করা হল। তাই দলের সঙ্গে যোগ নেই এ কথার গুরুত্ব কী আছে? এক দিন হয়তো বলবেন পার্থকেই চিনি না।’’
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা। টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, 'কথায় আছে, বিপদের সময় নাকি মানুষকে ভালো করে চেনা যায়। কিন্তু দিদিমণি বিপদে পড়ে একজনকে ঠিক চিনতেই পারছেন না। যখন ববির ওখানে যেত-আসত, পার্থদার সঙ্গে তৃণমূলের মঞ্চ আলো করে ভোটের প্রচার করত তখন তো দেখলেই বলতেন ‘‘কেমতি আছন্তি’’। এখন একটু খোঁজ নিয়ে জিজ্ঞেস করুন: ‘‘কেমতি আছন্তি’’?’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এখন পার্থর সমস্ত দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। দায় ঝেড়ে ফেলা অত সহজ নয়। কারণ বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী ২৯৪ টি কেন্দ্রে নিজে প্রার্থী বলে ভোট চেয়েছিলেন। তাই নিজে প্রার্থী বলে যখন ভোট চেয়েছিলেন, তেমন এই দুর্নীতির দায় তাঁকে নিতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy