Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Train Passengers

প্রাক্‌-অতিমারি থেকে পিছিয়ে ট্রেনযাত্রী সংখ্যা

গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে প্রায় ২৪ শতাংশ যাত্রীর ঘাটতি রয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

train passengers.

গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে  দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে ৫৮ হাজার ৫৮০ লক্ষ যাত্রী সফর করেছেন। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:১৪
Share: Save:

সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বছরে যাত্রী পরিবহণ থেকে রেলের আয় গত বছরের তুলনায় বাড়লেও যাত্রী সংখ্যা প্রাক-অতিমারি পর্যায়ের থেকে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে।

গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে প্রায় ২৪ শতাংশ যাত্রীর ঘাটতি রয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। শহরতলির ট্রেনের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ এবং দূর পাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে এখনও ২৯ শতাংশ যাত্রীর ঘাটতি রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে ৫৮ হাজার ৫৮০ লক্ষ যাত্রী সফর করেছেন। ওই সংখ্যা প্রাক-অতিমারি পর্বের তুলনায় ১৮ হাজার ১৫০ লক্ষ কম।

প্রাক-অতিমারি পর্বে, ২০১৮-১৯ সালে রেলে যাত্রী সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজার ২৫০ লক্ষ। ২০১৯-২০ সালে ওই সংখ্যা ছিল ৭৬ হাজার ২৩০ লক্ষ।

অতিমারির বছরে রেলের যাত্রী সংখ্যা ছিল মাত্র ৯ হাজার ৮৫০ লক্ষ। পরের বছর যাত্রী সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ হাজার ৬৩০ লক্ষ হয়। মাস খানেক আগে শেষ হওয়া আর্থিক বছরে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও, তা এখনও প্রাক-অতিমারি পর্যায়ের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। রেল সূত্রে গত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পশ্চিম, মধ্য এবং পূর্ব রেলে ওই ঘাটতি চোখে পড়েছে। পশ্চিম রেলে ২৮৮০ লক্ষ, মধ্য রেলে ২৭১০ লক্ষ এবং পূর্ব রেলে ১৪১০ লক্ষ যাত্রীর ঘাটতি ছিল।

যদিও চলতি বছরে যাত্রী পরিবহণ খাতে বিগত অর্থ বছরের তুলনায় ৬১ শতাংশ আয় বেড়েছে। গত আর্থিক বছরের তুলনায় যাত্রিসংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি যে সব রুটে অত্যধিক চাহিদা রয়েছে, সেখানে পরিকল্পনা মাফিক বিশেষ ট্রেন চালানো হয়েছে। সাধারণ ট্রেনের তুলনায় বিশেষ ট্রেনের সব শ্রেণিতেই ভাড়া খানিকটা বেশি। এ ছাড়াও অপেক্ষমান তালিকায় লক্ষ্য রেখে বেশি সংখ্যক যাত্রীকে সফরের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সে জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী বহু ট্রেনে অস্থায়ী ভিত্তিতে, আবার কিছু ক্ষেত্রে পাকাপাকি ভাবে সংরক্ষিত কামরা যোগ করা হয়েছে। এর ফলে টিকিট নিশ্চিত ( কনফার্ম ) না হওয়ার কারণে টাকা ফেরতের হার কমেছে।

রেলের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, শহরতলির ট্রেনে বা মেট্রোয় যাত্রীহ্রাসের পিছনে সাধারণ মানুষের একাংশের আর্থিক সামর্থ্য কমে যাওয়া অন্যতম কারণ। এ ছাড়া, অনেকে বাড়ি থেকে কাজ করছেন বলেও যাত্রী বাড়ছে না। তবে, ওই সংখ্যা নেহাত কম। দূর পাল্লার ট্রেনে যে সব পরিযায়ী শ্রমিক যাতায়াত করতেন, তাঁদের অনেকে এখনও কাজে ফিরতে পারেননি বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বয়স্ক যাত্রীদের ছাড় উঠে যাওয়ায় রেলে সফরের আগ্রহ কমেছে। সময় বাঁচানো ছাড়াও স্বাস্থ্যের কারণে অনেকেই কম ভাড়ার বিমান পরিষেবার দিকে ঝুঁকেছেন বলেও মনে করছেন রেল কর্তারা।

অন্য বিষয়গুলি:

Passenger train
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy