জিম্মি কিন্তু রামপুরহাট ব্লক-১-এর বাসিন্দা নন। তিনি রামপুরহাট পুরসভা এলাকার বাসিন্দা। সম্প্রতি পুরভোটে ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে কাউন্সিলরও হয়েছেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কারণেই সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকেই জিম্মি দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করবেন।
রামপুরহাট ব্লক-১ সভাপতি পদে আনারুল হোসেনকে সরিয়ে দায়িত্বে আনা হল সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে। নিজস্ব চিত্র।
রামপুরহাট-১ ব্লক তৃণমূলের নতুন সভাপতি হলেন সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। বৃহস্পতিবার বগটুইতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, রামপুরহাটের ব্লক-১ তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেনকে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে, নয় তো গ্রেফতার করা হবে তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রীর এমন নির্দেশের পরেই আনারুলকে বোলপুরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরেই তাঁকে দলের ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আনারুলের জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, রামপুরহাটের তৃণমূল নেতা জিম্মিকে। বীরভূম জেলার রাজনীতিতে জিম্মি অত্যন্ত পরিচিত নাম। এ ক্ষেত্রে আনারুল বির্তক চাপা দিতে তড়িঘড়ি সভাপতি পদে আনা হল তাঁকে। তৃণমূলের রাজনীতিতে নতুন হলেও, বীরভূম জেলার পরীক্ষিত নেতা জিম্মি।
জিম্মি কিন্তু রামপুরহাট ব্লক-১-এর বাসিন্দা নন। তিনি রামপুরহাট পুরসভা এলাকার বাসিন্দা। সম্প্রতি পুরভোটে ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে কাউন্সিলরও হয়েছেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কারণেই সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকেই জিম্মি দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করবেন।
বীরভূম জেলার এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘ভাবমূর্তির দিক থেকে বীরভুম জেলার রাজনীতিতে অনেকের চেয়ে এগিয়ে জিম্মি। তাই এমন সঙ্কটের সময় তাঁকেই দায়িত্ব দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়েছে দল।’’ কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদ থেকেই বীরভূম জেলার রাজনীতিতে পথচলা শুরু জিম্মির। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। এমনকি তাঁকে চিনতেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীও। বর্তমানে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলেরও সুনজরে রয়েছেন রামপুরহাটে এই নেতা।
সূত্রের খবর, রামপুরহাট-১ ব্লক সভাপতির পদ থেকে যে আনারুলকে সরানো হবে সেই ইঙ্গিত বুধবার রাতেই পেয়ে গিয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিতেই, সভাপতি পদ থেকেও আনারুলকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। সন্ধ্যায় ব্লক সভাপতি হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রী একদিকে যেমন রামপুরহাটের পুলিশ প্রশাসনের খোলনলচে বদলাতে শুরু করেছেন। তেমনই দলের সংগঠনেও বদল আনার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রামপুরহাট থানার আইসি-কে ত্রিদীপ প্রামাণিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy