—প্রতীকী ছবি।
চার মাস পার। চলতি বছরে রাজ্যের ‘ঐক্যশ্রী’ প্রকল্পের ছাত্রবৃত্তির টাকা এখনও পেলেন না সংখ্যালঘু পড়ুয়ারা। প্রাক-মাধ্যমিক, উচ্চশিক্ষা এবং পেশাদারি শিক্ষা— এই তিনটি ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের এই প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়। এই টাকা পড়ুয়াদের হাতে আসার কথা মার্চের গোড়ায়। কিন্তু জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও তা তাঁরা পাননি বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ।
উচ্চশিক্ষা এবং পেশাদারি শিক্ষার ক্ষেত্রে এই টাকা পড়ুয়াদের কাজে লাগে। তাঁদেরই একাংশ জানিয়েছেন, টাকা হাতে না আসায় তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী তাজাম্মুল হোসেন বলেন, ‘‘কিছু কিছু পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ অন্যান্য নথি নিয়ে কিছু গরমিল ছিল। সেগুলি সংশোধন করার জন্য কিছুটা দেরি হয়েছে। টাকা ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাঁরা যোগ্য এবং নথিপত্রে কোনও গোলমাল নেই, তাঁরা সবাই শীঘ্রই টাকা পেয়ে যাবেন।’’
উচ্চশিক্ষা এবং পেশাদারি শিক্ষার ক্ষেত্রে এই বৃত্তি পাওয়ার শর্ত— পড়ুয়াকে সর্বশেষ পরীক্ষায় ৫৫% নম্বর পেতে হবে। স্নাতকোত্তরের জন্য দু’বছরে মেলে ৪৮ হাজার টাকা। এমবিবিএস পড়ার জন্য পাঁচ বছরের সময়সীমায় বছরে ২৪ হাজার টাকা করে মেলে। বিএড পড়ার জন্য ১৮ হাজার টাকা করে দু’বছর ধরে মেলে। এ ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্যেও টাকা পাওয়া যায়। চলতি বছরে এই টাকা কেউই পাননি।
গত বছর এমবিবিএসে ভর্তি হয়েছেন হাওড়ার উলুবেড়িয়ার এক পড়ুয়া। প্রথম বর্ষের জন্য তাঁর পাওয়ার কথা ২৪ হাজার টাকা। কিন্তু প্রথম বর্ষ শেষ হয়ে গেলেও তিনি টাকা পাননি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার টাকা পাওয়ার কথা মার্চ মাসে। তা পেলাম না। পেলে বই কিনতে পারতাম।’’ এক বিএড পড়ুয়ার কথায়, ‘‘গত বছর ঠিক সময়েই প্রথম বর্ষের টাকা পেয়েছি। এ বছর বিএড-এর ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলেও দ্বিতীয় বর্ষের টাকা পেলাম না। ঠিক সময়ে ওই টাকা পেলে শেষ সিমেস্টার ফি-র কিছুটা দিতে পারতাম। ধার করে ফি দিতে হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy