—প্রতীকী চিত্র।
আমেরিকার মানবাধিকার সংক্রান্ত বার্ষিক রিপোর্টে উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের গত বছরের পঞ্চায়েত ভোটের হিংসার প্রসঙ্গ। ওই রিপোর্টের শেষ অংশে ‘রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যোগদানের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা’ সংক্রান্ত বিভাগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৮ জুলাই গ্রামীণ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫২ জনের মৃত্যুর কথা।
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন আমেরিকার এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপি বাংলার সম্মানকে ধূলিসাৎ করার একটি সুযোগ পেলেও তা হাতছাড়া করে না। আর এ ক্ষেত্রে তারা মনগড়া তথ্য আমেরিকাকে পাঠিয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। ওই রিপোর্টে মণিপুর নিয়ে যা রয়েছে তার জবাব কে দেবে?” বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, “আমরা গতকালই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম, একুশের বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যে তুমুল হিংসার অভিযোগ নিয়ে। সে সময় ১৭ হাজার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল। গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের পরেও একই চিত্র। বিজেপি নেতা কর্মীরা ঘরছাড়া হয়েছেন। সেই বাস্তব চিত্রই ফুটে উঠেছে আমেরিকার এই রিপোর্টে।”
আমেরিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী হিংসা হয়েছে, যেখানে ৫২ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর। ২০২৩-এর ৮ জুলাই গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে এটা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।’ পাশাপাশি বলা হয়েছে, ‘ওই বছরে তেলঙ্গানা, রাজ্যস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, কর্নাটক, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, মিজোরামে বিধানসভা ভোট হয়েছে। এই ভোটগুলি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলেই খবর। গত সেপ্টেম্বর সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর প্রচার করেছে সমাজমাধ্যমে, যাতে ভোটের ফলাফলে প্রভাব ফেলা যায়।’
প্রসঙ্গত, এক বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট ঘোষণার দিন থেকেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যে দিন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়, সেই দিনই মুর্শিদাবাদে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। এর পরে দফায় দফায় খুনোখুনি চলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। ভাঙড়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনে এক জায়গায় তিন জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে দু’জন তৃণমূল কর্মী। ভোটের দিনও রক্তপাত কমেনি। সূত্রের দাবি, সব মিলিয়ে পুরো ভোট প্রক্রিয়ায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। শাসক দলের দাবি, তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণই সব থেকে বেশি। বিরোধীদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটে যে যেখানে শক্তিশালী, সেখানে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল শাসক দলের দাপুটে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy