Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Private Hospital

হাসপাতালের বিল নিয়ে হস্তক্ষেপ স্বাস্থ্য কমিশনের 

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বাঘাযতীনের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ০২:৫৬
Share: Save:

করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় মাত্রাতিরিক্ত বিল নেওয়ার অভিযোগে কলকাতার দু’টি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দু’জন রোগীর পরিজনেরা। প্রথম অভিযোগের ক্ষেত্রে কমিশনের হস্তক্ষেপে পিপিই-সহ নন মেডিক্যাল খাতে নেওয়া ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দ্বিতীয় ঘটনায় আক্রান্তের মেয়ে বিদেশ থেকে কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। প্রাথমিক পর্যালোচনার পরে সেই অভিযোগ শুনানির জন্য নথিভুক্ত করা হয়েছে।

গত ১৬ মে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন কোভিড-আক্রান্ত বছর ৮৬-র এক বৃদ্ধ। ২৬ দিন পরে গত ১১ জুন তাঁর মৃত্যু হয়। বৃদ্ধের চিকিৎসার বিল হয়েছিল প্রায় ছ’লক্ষ টাকা। তার মধ্যে পিপিই-সহ নন-মেডিক্যাল খাতে খরচ ধরা হয় ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, প্রতিদিন পিপিই-সহ নন মেডিক্যাল খাতে সাত হাজার টাকা করে খরচ ধরা হয়েছিল। বুধবারের শুনানিতে কমিশন সরকারি নির্ধারিত মূল্যে পিপিই’র খরচ ধরার কথা বলা হলে এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিতে রাজি হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ দিনই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বাঘাযতীনের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় অভিযোগটি করেছেন যোধপুর পার্কের বাসিন্দা ৬০ বছরের বৃদ্ধের সুইডেন প্রবাসী মেয়ে। ওই বৃদ্ধ গত ২৭ জুন জ্বর নিয়ে আনন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। পর দিন নমুনা পরীক্ষায় কোভিড ধরা পড়ে। তাঁর মেয়ে ফোনে জানান, ভর্তির পরে এক সপ্তাহ বৃদ্ধ সুস্থ ছিলেন। কিন্তু প্রবল শ্বাসকষ্টের জন্য ৪ জুলাই তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। এর পর থেকে ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন তিনি। প্রায় এক মাসে বিল হয়েছে ১৬ লক্ষ টাকা। আক্রান্তের মেয়ের বক্তব্য, ‘‘এক দিকে চিকিৎসকেরা বলছেন, বাবার বাঁচার আশা নেই বললেই চলে। আবার দ্বিতীয় ডায়ালিসিস করানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। বাবার মেডিক্যাল রিপোর্টও ঠিকমতো পাচ্ছি না।’’ কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্রোটোকল তৈরি করেছে রাজ্য। ভেন্টিলেশনে দেওয়ার আগে কী করতে হবে সেই সংক্রান্ত একাধিক অ্যাডভাইজ়রিও জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। সে সব মেনে চিকিৎসা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছে আক্রান্তের মেয়ে।

হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ পেয়ে বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চায় কমিশন। সূত্রের খবর, হাসপাতালের তরফে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে তাঁর মেয়ে এবং জামাইকে প্রতিনিয়ত অবহিত করা হয়েছে। রোগীর পরিজনেরা চাইলে বেড হেড টিকিটের প্রেক্ষিতে চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে যে কারও সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন। কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে তাঁদের মনে হয়েছে, অভিযোগ শুনানির জন্য গ্রহণ করা যেতে পারে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy