কেকের মৃত্যু নিয়ে জোর তরজা ফিরহাদ-ধনখড়ের। ফাইল চিত্র
প্রয়াত গায়ক কেকে-র মৃত্যু নিয়ে তরজার মধ্যেই, কাশীপুরে মৃত বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু প্রসঙ্গ টেনে এনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আক্রমণ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার গায়কের মৃত্যু নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক বেধে যায়। পাল্টা জবাব দেন শাসক দলের নেতা ফিরহাদ। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপালের যে প্রতিক্রিয়া তা রাজনীতি। কারণ বিজেপি যা বলেন, তিনিও তা বলেন। প্রতিক্রিয়া তখন দেওয়া উচিত ছিল, যখন বিজেপির লোকেরা আত্মহত্যা স্থলে অমিত শাহকে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কাশীপুরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল, আর দেশের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়ে বললেন খুন হয়েছেন। তখন তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব বিজেপি নেতাদের কথা শুনে চললে আপনার পদও প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে।’’
প্রসঙ্গত, কেকে-র মৃত্যু প্রসঙ্গে রাজ্যপালের অভিযোগ, এটা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’। তিনি বলেন, ‘‘সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র মৃত্যু বেদনাদায়ক। আমাকে অনেকে ভিডিয়ো পাঠিয়েছেন। অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অসাবধানতা এবং গাফিলতি এর জন্য দায়ী। ভিড় সামলানো বা তা মাথায় রেখে অনুষ্ঠান করা উচিত ছিল।’’
গায়কের মৃত্যু নিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘পুলিশ কমিশনার ওই দিনের ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছেন। সেখানে কোনও পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। আমি ওখানে ছিলাম না। প্রত্যক্ষদর্শীও নই। তবে যত দূর বিভিন্ন চ্যানেলে দেখেছি, ওঁর পারফর্মন্সের সময় স্বাভাবিকই ছিলেন। নাচানাচির সময় গা গরম হয়ে যায়। গান গাইতে গাইতে ঘেমে গিয়ে বার বার ঘাম মুছছিলেন। জল খাচ্ছিলেন। সেটাই স্বাভাবিক। আমরা যখন মঞ্চে বক্তৃতা দিই তখন আমাদেরও ঘাম হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অনুষ্ঠান শেষ করে যখন তিনি বেরিয়ে যাচ্ছেন। তখনও তাঁকে দেখে অস্বাভাবিক কিছুই মনে হয়নি। বা হোটেলে ঢোকার ভিডিও দেখেও আমার কিছু মনে হয়নি। কিন্তু যখন তিনি লিফটে উঠলেন, তখন তাঁর সমস্যা শুরু হয়। বোঝা গেল ওঁর শরীরটা খারাপ হয়েছে। কেউ তো ভগবান নয়, যে আগে থেকে বুঝতে পারবে বা সবকিছু জেনে যাবে ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy