বিধানসভার স্পিকারের কাছে কার্যবিবরণী চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নিজস্ব চিত্র
সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)-র এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাশ হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাবের কার্যবিবরণী তাঁর কাছে পাঠানো হয়নি বলে দাবি করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শুক্রবার টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে শুধু বিএসএফ নিয়ে নয়, এর আগে সিবিআই ও ইডি নিয়েও যে প্রস্তাব পাশ হয়েছিল সেই বিবরণীও পাঠানো হয়নি বলে দাবি করেন রাজ্যপাল। তাঁর নির্দেশ, সাত দিনের মধ্যে ওই কার্যবিবরণী পাঠানো হোক।
বিধানসভায় কোনও বিল বা প্রস্তাব পাশ হলে সাধারণত তা রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৭ নভেম্বর বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই প্রস্তাবের কার্যবিবরণী স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে পাঠাননি, এই দাবি তুলেই টুইটে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, ‘এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় এবং অসাংবিধানিকও বটে।’ এ ছাড়া বিধানসভার পূর্বের কার্যপ্রণালী নিয়েও সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল।
WB Governor Shri Jagdeep Dhankhar has sought West Bengal Legislative Assembly Proceedings as regards passing @MamataOfficial Resolution as regards extension of jurisdiction area @BSF_India and Breach of Privilege Motion against CBI and ED officials @dir_ed pic.twitter.com/jksI62x18I
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 19, 2021
এর আগে সিবিআই ও ইডি-র বিরুদ্ধে বিধানসভায় স্পিকারের কাছে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল তৃণমূল। সেই বিষয়েও তাঁকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন ধনখড়। তিনি বলেন, ‘কার্যবিবরণী চেয়ে এর আগেও স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা দেওয়া হয়নি।’ এর পরেই ওই বিবরণী পাঠানোর সময়সীমাও বেঁধে দেন ধনখড়। তাঁর দাবি, ‘দ্রুততার সঙ্গে আগে চাওয়া কার্যপ্রণালীগুলিও রাজভবনে দেওয়া যেতে পারে। তবে এর জন্য সাত দিনের বেশি সময় নয়।’ রাজ্যপালের এই টুইট ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy