—ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির কারণে এখনই ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিংয়ের জন্য কলকাতায় আসতে পারছেন না নিউ টাউনে খুন হওয়া বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের স্ত্রী, মেয়ে এবং তাঁর ভাই। সিআইডি সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে সাংসদের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন তদন্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সেখানেই তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলে কলকাতায় আসতে দেরি হবে বলে জানিয়েছেন। সিআইডির এক কর্তা জানান, বাংলাদেশ সরকারের মধ্যস্থতায় এবং তাদের সাহায্য নিয়েই সাংসদের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন, স্ত্রী ইয়াসমিন ফেরদৌস এবং সাংসদের ভাই এনামুল হককে কলকাতায় আসতে বলা হয়েছিল। সাংসদের মেয়ে জানিয়েছেন, অবস্থার উন্নতি হলেই তাঁরা এখানে এসে তদন্তে সহযোগিতা করবেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে কলকাতায় এসে নিখোঁজ হয়ে যান ওই সাংসদ। পরে জানা যায়, তাঁকে নিউ টাউনের একটি আবাসনে খুন করা হয়েছে। এমনকি, অভিযুক্তেরা তাঁর দেহের মাংস এবং হাড় ছাড়িয়ে টুকরো টুকরো করে বলেও জানা যায়। পরে মাংসের টুকরোগুলি সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়। হাড়গুলি ফেলা হয় ভাঙড়ের পোলেরহাট থানার কৃষ্ণমাটিতে বাগজোলা খালে। নিউ টাউনের আবাসনের ভিতরে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মাংসপিণ্ড উদ্ধার করে সিআইডি। তার কয়েক দিন পরেই খালের ধার থেকে ওই হাড় উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সিআইডি জানিয়েছে, ওই হাড় এবং মাংস ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাতে বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, সেই হাড় এবং মাংস মানুষের। এর পরেই, উদ্ধার হওয়া হাড় এবং মাংস ওই সাংসদের কি না তা জানার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো গত মাসেই আনোয়ারুল আজিমের স্ত্রী, মেয়ে এবং তাঁর ভাইকে কলকাতায় আসতে বলা হয়েছিল সিআইডির তরফে। তারই উত্তরে সাংসদের মেয়ে বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির কথা জানিয়ে এখনই ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিংয়ের জন্য কলকাতায় আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।
সিআইডি ওই মামলায় জিয়াদ হাওলাদার এবং সিয়াম নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। অন্য দিকে এই ঘটনায় বাংলাদেশের ঢাকা পুলিশ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে মুস্তাফিজুর, ফয়জ়ল, আমানুল্লা ভুঁইয়া এবং শেলেস্তা রহমান সাংসদকে খুনের সময় জিয়াদ এবং সিয়ামের মতোই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।
এক তদন্তকারী জানান, বর্তমানে ওই মামলার চার্জশিট তৈরির কাজ চলছে। খুব দ্রুত তা আদালতে জমা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। আর তার পরেই আদালতের নির্দেশ মেনে ও সরকারি পদ্ধতি অনুযায়ী ওই অভিযুক্ত চার জনকে এই দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy