এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সচিবালয়কে চিঠি দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার দুপুরে ইডি-র এক কনস্টেবল বিধানসভায় আসেন। তিনি সোজা চলে যান বিধানসভার সচিব সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের দফতরে। কিন্তু সেই সময় সচিবালয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে সুস্মিতা দেব মনোনয়ন দাখিল করছিলেন। তাই সচিবালয়ের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। ইডি-র ওই কনস্টেবল সচিবালয়ের দফতরে চিঠিটি দিয়ে তার প্রাপ্তিস্বীকারপত্রটি নিয়েযান। ওই চিঠির বয়ানে ঠিক কী রয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। পরিষদীয় রীতিনীতি অনুযায়ী সেকথা প্রকাশ্যে আসার কথাও নয়। কারণ, আইনত একমাত্র স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই ওই চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে পারেন। বিধানসভা সূত্রে খবর, ইডি চিঠি পাঠিয়েছে বিধানসভার সচিবের নামেই।
প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের ডিএসপি সত্যেন্দ্র সিংহ ও ইডির রথীন বিশ্বাসকে হাজিরার চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন স্পিকার। জবাব দিতে ২২ সেপ্টেম্বর বেলা ১টায় বিধানসভায় আসতে বলা হয়েছে সিবিআই ও ইডি-র আধিকারিকদের। ইডি ও সিবিআইয়ের ‘প্রিভেনশন অব কোরাপশান অ্যাক্ট ১৯(১)’ ধারায় চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল বলেই দাবি করেছিলেন স্পিকার। সেই বিষয়েই স্পিকার তাদের বিধানসভায় তলব করেছেন। মনে করা হচ্ছে সেই তলব সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই সচিবালয়কে ওই চিঠিটি পাঠিয়েছে ইডি। উল্লেখ্য,১৪ সেপ্টেম্বর সর্বভারতীয় স্পিকার সম্মেলনেও ইডি ও সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিমান প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে।