বাম আমলে কোনও সরকারি বা সরকার অনুমোদিত স্কুলের সহকারী প্রধানশিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব ছিল স্কুল পরিচালন সমিতির হাতে। ছবি: সংগৃহীত।
স্কুলে সহকারী প্রধানশিক্ষক নিয়োগে বামফ্রন্ট জমানার নিয়ম ফেরাল শিক্ষা দফতর। সম্প্রতি এক নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে সহকারী প্রধানশিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে ২০১৮ সালের ৬ অগস্ট যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। বদলে ১০ জুলাই ২০০২ তারিখে প্রকাশিত নির্দেশিকাটি ফিরিয়ে আনা হল। শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের তরফে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারের কাছে। কমিশনার মারফত এই নির্দেশ পৌঁছতে বলা হয়েছে জেলার শিক্ষা আধিকারিকদের। জেলার শিক্ষা অধিকারিকদের মারফত বিভিন্ন সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলে এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাম আমলে কোনও সরকারি বা সরকার অনুমোদিত স্কুলের সহকারী প্রধানশিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব ছিল স্কুল পরিচালন সমিতির হাতে। পরিচালন সমিতির ঠিক করে দেওয়া নামে জেলা শিক্ষা অধিকারিকের সিলমোহর পড়লেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষক সহকারী প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব পেতেন। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন এই নিয়ম বদলানো হয়।
মূলত তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগে ২০১৮ সালের ৬ অগস্ট এক নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা দফতর। সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, এবার থেকে স্কুলের সহকারী প্রধানশিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিকাশ ভবন। তাই পরিচালন সমিতি বা জেলা শিক্ষা আধিকারিকের এ ক্ষেত্রে আর কোনও ভূমিকা থাকবে না। ২০০২ সাল থেকে চলে আসা এই নিয়মে ইতি টেনে দেয় বিকাশ ভবন। কিন্তু, সম্প্রতি সেই নির্দেশিকা বাতিল করে আবারও বামফ্রন্ট জমানার নিয়ম ফিরিয়ে দিল শিক্ষা দফতর। তবে এ বিষয়ে কোনও রাজনীতি দেখতে নারাজ শিক্ষা দফতর। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “প্রয়োজন বুঝে ২০১৮ সালে সহকারী প্রধানশিক্ষক নিয়োগের নিয়ম বদল করা হয়েছিল। আবারও প্রয়োজনমাফিক পুরনো নিয়ম ফিরিয়ে আনা হয়েছে।” তবে বামমনস্ক এক শিক্ষক সংগঠনের কথায়, “২০১৮ সালে যখন বিকাশ ভবন নিজেদের হাতে ক্ষমতা নেয় তখনই আমরা বলেছিলাম ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এতে কাজের দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতা বাড়বে। হলও তাই। আবার সেই বাম আমলের নিয়মে ফিরে যেতে হল। ভাগ্য ভাল, এখানে ৩৪ বছরের ভূত দেখেনি।” পুরনো পদ্ধতি ফিরে আসায় সহকারী প্রধানশিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেক সরল হবে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy