জোর সমালোচনার মুখে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
তীব্র মেরুকরণেই এমন বিপর্যয় হয়েছে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রাথমিক পর্যালোচনায় এমনটাই উঠে এসেছে। শনিবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন রাজ্যের ৪৬ জন নেতা। সেখানেই ভোট বিপর্যয় নিয়ে জোর সমালোচনার মুখে পড়েন নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ লক্ষ করা যায়, আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে। এ কারণে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে সবচেয়ে বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে রবিবার রাজ্য কমিটির বিবৃতিতে বিপর্যয়ের প্রাথমিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-র মধ্যে তীব্র মেরুকরণ হয়ে যায়। নির্বাচনী ফলাফলে এটিই সম্ভবত মূল কারণ।’’
২০১৬ সালের নির্বাচনে বামজোটের জেতা ৫২টি আসন তৃণমূল জিতে যাওয়াতেই ভোটের ফলাফল এমন হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তবে বিজেপি যে ৭৭টি আসনে জয়ী হয়েছে, তা যে তৃণমূলের ৪৪টি আসনের মধ্যেই, তাও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সান্ত্বনা স্বরূপ, বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, সিপিএম যে ১৩৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তার ৯৪টিতে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের তুলনায় ভোটবৃদ্ধি হয়েছে দলের।
রাজ্য কমিটির প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বামফ্রন্টের বিপর্যয়ের মূল কারণ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক। সংযুক্ত মোর্চা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে আস্থা গড়ে তোলা যায়নি। আমাদের রাজনৈতিক প্রচার জনগণের মধ্যে দাগ কাটতে পারেনি। বিকল্প সরকার গঠনের স্লোগান প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।’’ হারের প্রকৃত কারণ জানতে এবার নিচুতলার কর্মীদের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য কমিটি। সে কথা বিবৃতিতেই উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, ‘‘জেলাগুলির তরফে পর্যালোচনা পেশ করা হয়েছে। স্থির হয়েছে, বুথ ও শাখা স্তর পর্যন্ত এবং সমস্ত অংশের মানুষের মতামত নিয়েই এই পর্যালোচনা চূড়ান্ত হবে।’’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘প্রাথমিক রিপোর্ট পর্যালোচনাকে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার রূপ দিতে বুথ ও শাখাস্তর পর্যন্ত আলোচনা ও অভিমত সংগ্রহ করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy