স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে বেনজির অনিয়মে বিস্মিত কলকাতা হাই কোর্ট। নিজস্ব চিত্র
স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে বেনজির অনিয়মে ‘বিস্মিত’ কলকাতা হাই কোর্ট। নিয়োগে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে সিবিআই-এর হাতে তদন্ত যেতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি আদালতের। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিবকেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তলব করেছে আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে এসএসসি-র সচিবকে আদালতে আসতে হবে। ওই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে কি না তিনি তার ব্যাখ্যা দেবেন।
২০১৬ সালে চতুর্থ শ্রেণিতে প্রায় ১৩ হাজার নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে রাজ্য। সেই মতো পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নেয় এসএসসি। তার পর সেখান থেকে তারা একটি প্যানেল তৈরি করে। ২০১৯ সালে ওই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। অভিযোগ, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়মবহির্ভূত ভাবে প্রচুর নিয়োগ করেছে কমিশন। আবার কমিশনের আঞ্চলিক অফিসের ক্ষেত্রেই এমন অভিযোগ ওঠেছে। এখন তার মধ্যে ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশ তুলে ধরে মামলা করা হয় হাই কোর্টে। মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। ওই নিয়োগের সুপারিশে গন্ডগোল রয়েছে প্রাথমিক ভাবে এমনটা মনে করছেন বিচারপতি। কমিশনের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘যথেষ্ট হয়েছে। আঞ্চলিক অফিসের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই কমিশনের তা বোঝাই যাচ্ছে। তথ্যও সে কথা বলছে। কীভাবে এমন কমিশন চলতে পারে!’’
কমিশনের আইনজীবী আদালতে জানান, এই ধরনের কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে তারা তদন্ত করবে। এর জন্য অনুসন্ধান কমিটিও গড়া হোক। যা শুনে এই নিয়োগের তদন্ত ভার সিবিআইকে দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন বিচারপতি। তাঁর কথায়, ‘‘অনুসন্ধান কমিটি গড়া হবে বলা হচ্ছে, তা তো চোখে ধুলো দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না। ওই ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের নথি-সহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির হতে কমিশনের সচিবকে। তাঁর কাছ থেকেই পুরো ঘটনা শোনা হবে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে প্রয়োজনে এই সিবিআইকে দিয়ে এই তদন্ত করা হবে।’’ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় মামলাটির ফের শুনানি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy