Advertisement
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Calcutta High Court

অনুদানে হলফনামা তলব, কটাক্ষের সুর আদালতের

পুজোয় সরকারি অনুদান নিয়ে একাধিক বার মামলা হয়েছে। এ দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে আইনজীবী নন্দিনী মিত্র বলেন যে রাজ্য সরকার পুজোর অনুদান বাবদ ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে।

কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম।

কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম। —ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:১১
Share: Save:

পুজোয় অনুদান সংক্রান্ত সিএজি রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যের হলফনামা তলব করলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম। সোমবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ অনুদান মামলায় নির্দেশ দিয়েছে, পরবর্তী শুনানির দিন রাজ্যকে হলফনামা পেশ করতে হবে। এ দিন শুনানি চলাকালীন রীতিমতো কটাক্ষের সুরে রাজ্যের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি দু’বছর পুজো মণ্ডপে গিয়েছি। ৮৫ হাজার টাকা কিছুই নয়। ওই টাকা সম্ভবত ক্লাব সদস্যদের কাজে লাগতে পারে। আপনারা ১০ লক্ষ টাকা করে দিন।’’

বিরল রোগে অনুদান নিয়েও এ দিন প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ শোনা গিয়েছে। স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি রোগে রাজ্য মাসে ১ হাজার টাকা অনুদান দেয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘রাজ্য মাসে ১ হাজার টাকা দেয় শুনেছি। ওই সংখ্যার পিছনে আরেকটা শূন্য বসালে ভাল হয়।’’

প্রসঙ্গত, পুজোয় সরকারি অনুদান নিয়ে একাধিক বার মামলা হয়েছে। এ দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে আইনজীবী নন্দিনী মিত্র বলেন যে রাজ্য সরকার পুজোর অনুদান বাবদ ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। বছরের পর বছর আদালত নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও জনগণের টাকা খরচের কোনও হিসাব দেওয়া হয় না রাজ্যের তরফে। মামলাকারীদের আর এক আইনজীবী শামিম আহমেদ আবেদন জানান, অনুদানে ব্যয়ের হিসাব খতিয়ে দেখুক সিএজি। আদালতের খবর, এর আগেই অনুদান মামলায় সিএজি-কে রিপোর্ট দিতে বলেছিল কোর্ট। সেই রিপোর্ট কোর্টে জমাও পড়েছে। সেখানে আয়-ব্যয়ের খতিয়ান দেওয়া আছে। তার ভিত্তিতেই এ দিন রাজ্যকে নিজের বক্তব্য হলফনামা আকারে দিতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

এ দিন প্রধান বিচারপতির মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘এই রসিকতা দুর্ভাগ্যজনক। পুজো কমিটিগুলির মাধ্যমেই সমাজের নানা পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষের কাছে এই টাকা পৌঁছয়। বিচারপতিকে অনুরোধ করব, কলকাতার বাইরে জেলার পুজোগুলিতেও যান। অর্থনীতিতে কী ভাবে এই টাকা ছড়িয়ে পড়ছে, দেখতে পাবেন।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্যের বকেয়া টাকা দিয়ে দিতে বলুন। তার পরে নিশ্চয়ই পুজোর টাকা বাড়ানোর কথা ভাবা যেতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE