কলকাতা হাই কোর্ট ফাইল চিত্র
সাধারণত কোনও স্থান, জমি বা রাস্তাঘাট শনাক্তকরণ অথবা চিহ্নিত করার জন্য মানচিত্রের সাহায্য নেওয়া হয়। এ বারও মানচিত্রের সাহায্য নেওয়া হল। তবে কোনও জায়গা চিহ্নিত করার জন্য নয়, কলকাতার কোথায় কত বেআইনি নির্মাণ হয়েছে তা জানার জন্য। সোমবার বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে কলকাতার ৩০ বছর আগেকার মানচিত্র চাইল হাই কোর্ট। যা দেখে অনেক আইনজীবীই মনে করছেন, এই ধরণের মামলায় সচরাচর বহু পুরনো দিনের মানচিত্রের চাওয়া হয়েছে এমন উদাহরণ খুবই কম।
কলকাতা, বিধাননগর-সহ শহরতলির একাধিক জায়গায় জলাশয় বন্ধ করে প্রায়ই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠে। সোমবার তেমনই একটি মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে জলাশয় বুঝিয়ে চলছে দেদার নির্মাণ। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। সোমবার এই মামলার শুনানিতে কলকাতার আগের সমস্ত জলাভূমির গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখার কথা জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা শহরের তিন দশক আগেকার এবং এখনকার মানচিত্র আদালতে জমা দিক পুরসভা। তাতে জলাশয়গুলি চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে।’’
বিধাননগরে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি জমিতে বেআইনি নির্মাণ তো চলছেই, তার উপর ওই সব জমিতে নির্মিত আবাসনগুলি বিক্রির জন্য যে ভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। এ ছাড়া বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুরসভা কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা-ও হলফনামা আকারে জানতে চেয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশ, কত জলাভূমি বন্ধ করে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। ওই নির্মাণ বন্ধ করতে পুরসভা কী কী পদক্ষেপ করেছে তা জানাতে হবে কলকাতা পুরসভাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy