অয়ন-খুনে ব্যবহৃত ইট উদ্ধার। —ফাইল ছবি
হরিদেবপুর-কাণ্ডে নয়া মোড়। অয়ন মণ্ডলকে খুনে ব্যবহৃত ইট উদ্ধার করল পুলিশ। সেটি ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
সোমবার পুলিশ অয়ন মণ্ডলের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শক্ত ও ভোঁতা কোনও জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল অয়নকে। মাথায় এবং দেহে একাধিক আঘাতের জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তার পর খুনে ব্যবহৃত ইটটিও উদ্ধার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, অয়নের বান্ধবীর বাড়ির থেকেই পাওয়া গিয়েছে সেই ইট। তাতে রক্তের দাগও রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পর অয়নের দেহ লোপাটের জন্য যে গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা-ও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। ফরেন্সিক দল সেই গাড়ির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তথ্য সংগ্রহ করেছে। কী ভাবে অয়নের দেহ লোপাট করা হয়েছিল, তার পুনর্নির্মাণ করছে পুলিশ। চলছে অয়নের মোবাইলের খোঁজও।
অভিযোগ, বান্ধবীর বাড়িতে অয়নকে মারধর করা হয়েছে। ভোঁতা ও শক্ত জিনিস দিয়ে তাঁর সারা শরীরেই আঘাত করা হয়েছে। সেই আঘাতের জেরে মৃত্যু হয়েছে অয়নের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এ-ও জানানো হয়েছে যে, ময়নাতদন্তের ২৪ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।
দশমীর রাতে বান্ধবীর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অয়ন মণ্ডল। দ্বাদশীর দিন তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ত্রিকোণ প্রেমের ইঙ্গিত পেয়েছে। তাদের দাবি, বান্ধবী এবং তাঁর মা— দু’জনের সঙ্গেই সম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতা ছিল অয়নের। সেই ত্রিকোণ প্রেমের জটিলতার জন্যই তাঁকে খুন হতে হয়েছে। যদিও সোমবার আনন্দবাজার অনলাইনে এই ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব থেকে সরে এসেছেন অয়নের বাবা। তিনি দাবি করেন, পুলিশ তাঁকে দিয়ে জোর করে বলিয়েছে যে, অয়নের সঙ্গে মা এবং মেয়ের সম্পর্ক ছিল। আসলে বান্ধবীর সঙ্গেই অয়নের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেন অয়নের বাবা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সূত্র ধরে তদন্ত এগোচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy