গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ আনতে চলেছেন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব মামলাকারীরা। আগামী শুনানিতে তাঁরা আদালতকে জানাতে চলেছেন, পর্ষদ এক নাবালককেও শিক্ষকের চাকরির পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছিল।
সেই নাবালক চাকরিপ্রার্থী অবশ্য পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। পর্ষদ তৎসত্ত্বেও তাকে ২০১৭ সালে প্রাথমিকের শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করার নিয়োগপত্র দেয় বলে অভিযোগ। মামলাকারীদের বক্তব্য, যে নিজেই এখনও স্কুলের গণ্ডি পেরোয়নি, তাকেও স্কুলে পড়ানোর দায়িত্ব দিয়েছিল পর্ষদ। মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানিতেই তাঁরা বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে চলেছেন।
যে নাবালকের বিরুদ্ধে টেটের পরীক্ষায় বসার অভিযোগ, তার নাম কাজল হালদার (নাম পরিবর্তিত)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমান। ২০১৪ সালে যখন কাজল টেট পরীক্ষায় বসে, তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর ৯ মাস। অর্থাৎ তাঁর একাদশ শ্রেণিতে পড়ার কথা। অন্তত টেট নিয়ে মামলাকারীরা তাঁদের অভিযোগে এমনটাই জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, কাজল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরির নিয়োগপত্র দেয় পর্ষদ। সূত্রের খবর, কাজলের মতো এমন আরও ‘ফেল করা নাবালক’ রয়েছে পর্ষদের প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের তালিকায়। তবে মামলাকারীরা তাদের কথাও পরবর্তী শুনানিতে জানাবেন কি না, সে সম্পর্কে তাঁদের আইনজীবী কিছু জানাননি।
উল্লেখ্য, এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাই কোর্টে ওই মামলাটি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে উঠলে তিনি এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার মামলাটি নিয়ে পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চে গেলে ওই বেঞ্চও পর্ষদের কাছে পাল্টা জানতে চায়, অনিয়মের যা উদাহরণ দেখা যাচ্ছে, তাতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই কি সঠিক বলে মনে হচ্ছে না?
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy