প্রাথমিকে নিয়োগের প্রক্রিয়া গত ডিসেম্বর মাস থেকেই শুরু করেছে পর্ষদ। তাতে অংশগ্রহণকারী চাকরিরত প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। ফাইল চিত্র।
প্রাথমিকের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্কুলে চাকরিরতরাও অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন টেট উত্তীর্ণরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল বিশেষ সুবিধা পেতেই নতুন করে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই চাকরিরতদের ইন্টারভিউয়ের উপর স্থগিতাদেশ দিলেন। টেট উত্তীর্ণরা বলেছিলেন, ‘‘ওই প্রার্থীরা ইতিমধ্যে একটি জায়গায় চাকরি করছেন। তাই তাঁদেরকে নতুন করে সুযোগ না দিয়ে বেকারদের দেওয়া হোক।’’ বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাকরিরতদের নতুন করে সুযোগ দিতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
প্রাথমিকে নিয়োগের প্রক্রিয়া ডিসেম্বর মাস থেকেই শুরু করেছে পর্ষদ। তবে এ বারের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ছিল একটু আলাদা। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্কুলে চাকরিরতদেরও পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিয়েছিল পর্ষদ। চাকরিরতরা অনেক সময়েই নতুন করে পরীক্ষায় বসেন বদলি-সহ চাকরির নানা সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য। তবে প্রাথমিকে যে হেতু এখনও বহু শিক্ষকের নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন উঠছে, তাই বিষয়টি আরও জটিল।
চাকরিরতদের আবার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। মণিদীপা পুরকাইত-সহ বেশ কয়েক জন হাই কোর্টে মামলা করেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ‘‘২০১৬ এবং ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরিরতদের সুযোগ দেয়নি পর্ষদ। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা সুযোগ পেলে প্রতিযোগিতা বাড়বে।’’
মামলকারীদের আইনজীবী জানান, ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরিরতদের সুযোগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল পর্ষদ। সেই মতো তাঁরা আবেদন (ফর্ম ফিলাপ) করেছেন। এখন তাঁদের ইন্টারভিউও চলছে। বুধবার ওই প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়েই স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy