Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
TET Scam

‘২০১৪ টেটের নম্বর প্রকাশ করলেই থামবে আন্দোলন’! হাই কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

বৃহস্পতিবার রাতেই এপিসি ভবনের সামনে থেকে ২০১৪ সালের টেটের অনশন আন্দোলনে বসা চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেয় পুলিশ। তবে অবস্থান উঠলেও আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

২০১৪ সালের নট ইনক্লুডেড প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছেন আইনজীবী।

২০১৪ সালের নট ইনক্লুডেড প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছেন আইনজীবী। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২২ ১২:৪০
Share: Save:

টেটের আন্দোলনকারীদের প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা প্রকাশ করলেই আন্দোলন থেমে যাবে! আদালতের এমনই দাবি করে মামলা করার অনুমতি চেয়েছিলেন এক আইনজীবী। কলকাতা হাই কোর্ট সেই মামলার অনুমতি দিল। তবে এই অনুমতিও ‘অন্তর্বর্তীকালীন’।

বৃহস্পতিবার রাতেই সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতর এপিসি ভবনের সামনে থেকে ২০১৪ সালের টেটের অনশন আন্দোলনে বসা চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেয় পুলিশ। তবে অবস্থান উঠলেও আন্দোলন থামেনি। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পরও ২০১৪ সালের টেটের নট ইনক্লুডেড প্রার্থীরা জানিয়েছেন তাঁরা আবার ফিরবেন। এই পরিস্থিতিতেই হাই কোর্টে আন্দোলনকারীদের নম্বর প্রকাশের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলার অনুমতি চাওয়া হল।

শুক্রবার শ্রীধরচন্দ্র বাগারি এই আবেদন করেন হাই কোর্টের পূজাবকাশ চলাকালীন বেঞ্চে। বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে ওই আবেদনে বলা হয়েছিল, ‘‘২০১৪ সালের টেট চাকরিপ্রার্থী, যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের নম্বরের তালিকা (মার্কশিট) প্রকাশ করা হোক। নম্বর প্রকাশিত হলেই ওই আন্দোলন আর থাকবে না।’’ আইনজীবীর এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সরকার পাল্টা বলেন, ‘‘আপনি কী চান? কোর্টই কি নিয়োগপত্র দেবে? আর তার পর আন্দোলন বন্ধ হবে?’’ অবশ্য এ কথা বলার পরও আইনজীবী বাগারিকে জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দেন বিচারপতি সরকার।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের যে টেট চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন, তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হওয়ার পর দু’বার ইন্টারভিউ হলেও চাকরি পাননি। নিজেদের বঞ্চিত বলে দাবি করে ওই চাকরিপ্রার্থীরা এ-ও জানিয়েছেন, তাঁদের এ বার সরাসরি নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক। কারণ নতুন করে নিয়োগের যে ইন্টারভিউ শুরু হতে চলেছে, সেখানে ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। অথচ তাঁদের সময়ের মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর আর ২০১৭ সালের প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরে বিস্তর ফারাক থেকে যাবে। পরীক্ষার ধরনে বদল হওয়ার কারণ এই ফারাক তৈরি হয়েছে। ফলে দু’দফার পরীক্ষার্থীদের একই মানদণ্ডে ফেলে যোগ্যতার বিচার করা ঠিক হবে না।

তবে আন্দোলন কী ভাবে উঠবে তার ব্যাখ্যায় যাননি আইনজীবী। তিনি শুধু বলেছেন, ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীদের মার্কশিট প্রকাশ করলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। আন্দোলনও থামবে। আপাতত তাঁর সেই আর্জিতে অনুমোদন দিয়েছে অবকাশকালীন বেঞ্চ। তবে নিয়মিত বেঞ্চও সেই নির্দেশই বজায় রাখবে কি না সে দিকে নজর থাকবে।

অন্য বিষয়গুলি:

TET Scam Calcutta High Court TET
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE