আর্থিক প্রতারণা-কাণ্ডে অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে
তাঁর বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ গভীর ষড়যন্ত্র করেছেন। সেই ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিধায়ক ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গ টাকা নিয়েছেন। চাকরি তো জোটেইনি, ফেরত চেয়েও মেলেনি সেই টাকা। তাপসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ গিয়েছে খোদ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে। ঘটনাচক্রে, শুক্রবার রাতে গ্রেফতার হয়েছে তাপসের আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়াল-সহ তিন জন। শনিবার সেই তাপসই অভিযোগ করলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে।
তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন। এমনকি রাজনীতিও। কিন্তু শুক্রবার রাতে প্রবীররা গ্রেফতার হওয়ার পর সুর বদলেছে তাপসের। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকেই নির্দিষ্ট পরিকল্পনামাফিক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’’ তৃণা সাহা ভৌমিক ও দিলীপ পোদ্দার নামে দুই জেলা পরিষদের সদস্য-সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তাপস। তাঁর কথায়, ‘‘জেলা পরিষদের সদস্যা তৃণা সাহা ভৌমিক, জেলা পরিষদেরই সদস্য দিলীপ পোদ্দার, আর এক জেলা পরিষদের সদস্যের ছেলে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে। যাতে আমরা ফেঁসে যাই।’’
সম্প্রতি তাপসের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ সামনে এসেছে। বেশ কয়েক জন অভিযোগকারী অভিষেককে চিঠিও লিখেছেন। যা নিয়ে বেজায় ‘অস্বস্তি’তে দল। ঘটনাচক্রে, বুধবারই প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, যত বড় রাজনৈতিক নেতাই হন না কেন, দুর্নীতিতে নাম জড়ালে কাউকে রেয়াত করা হবে না। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, অভিযোগ এলে যে দলের যত বড়ই নেতা হন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। দুর্নীতি-কাণ্ডে দলের নাম জড়ানো নিয়ে শনিবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত কড়া এ বিষয়ে। আমাদের সরকারও কড়া। কোনও ভাবেই কোনও দুর্নীতি, অব্যবস্থা আমরা সহ্য করব না।’’
ফেসবুকে নদিয়ারই কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলছেন যে, দলকে সামনে রেখে কোনও রকমের তোলাবাজি করা যাবে না— চাকরি দেওয়ার নাম করে, টেট প্যানেলে নথিভুক্ত করার নাম করে, সরকারি কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে কেউ যদি মানুষকে প্রতারণা করে তবে, নির্ভয়ে এখুনি পুলিশ বা আমার অফিসে লিখিত অভিযোগ করুন।’ শনিবারও তিনি আর্থিক প্রতারণা-কাণ্ড নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন। তবে সরাসরি তিনি তাপসের নাম কোথাও লেখেননি। মহুয়ার পোস্ট নিয়ে যদিও তাপস কোনও মন্তব্য করেননি।
আর্থিক প্রতারণা-কাণ্ডে তৃণমূল বিধায়কের নাম জড়ানো এবং তাঁর আপ্তসহায়কের গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কৌশল। বিধায়ককে বাঁচানোর জন্যই আপ্ত সহায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy