পরীক্ষার্থীদের জন্যও পর্ষদের তরফে একাধিক নিয়ম জারি করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
১১ ডিসেম্বর আসন্ন টেট নিয়ে আরও সতর্ক হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেট পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা এবং প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই মর্মে পর্ষদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্বচ্ছ ভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশ এবং বাহির পথে সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।
প্রশ্নপত্র নিয়ে নতুন করে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে, তা নিশ্চিত করতেও তৎপর হয়েছে পর্ষদ। আর সেই জন্য পর্ষদের কড়া নির্দেশ, পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে এক ঘণ্টা আগে। আগে থেকে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে না।
পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করা প্রতিটি শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের গলায় বৈধ পরিচয়পত্র ঝোলানো থাকতে হবে।
এ ছাড়াও পরীক্ষার্থীদের জন্যও পর্ষদের তরফে একাধিক নিয়ম জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মোবাইল এবং ধাতব কোনও জিনিস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে না ঢোকার নিয়ম।
পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘টেট যাতে স্বচ্ছ ভাবে হয়, তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা আমরা রাখছি। যাতে নতুন করে আর কোনও বিতর্ক না তৈরি হয়, তারই চেষ্টা চলছে।’’
এমনিতেই তাদের দিকে ওঠা একাধিক অভিযোগের আঙুলে পর্ষদ জর্জরিত। বিগত টেটগুলি নিয়ে পরতে পরতে দুর্নীতি থাকার অভিযোগ উঠে এসেছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিককে নিয়েও কম অস্বস্তিতে তৈরি হয়নি পর্ষদের অন্দরে।
এর পর গৌতম পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দাবি করা হয়, এ বার থেকে নিয়োগ হবে আরও স্বচ্ছ উপায়ে। কিন্তু এতেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। ২০১৪ সালে উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করতে গিয়েও ফাঁপরে পড়ে নতুন কমিটি। সেই তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর দেখা যায় কেউ কেউ এই পরীক্ষায় ১০-এর মধ্যে ১০.৯ পেয়েছেন। সম্প্রতি ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্ন পরীক্ষার আগেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
টেট-এর অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে ৩০ নভেম্বর থেকে। আর সেই অ্যাডমিট নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড ছড়িয়ে পড়া নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছে পর্ষদ।
যদিও পর্ষদের দাবি, তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পর্ষদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন পর্ষদ সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy