টেট পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের উপর বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পর্ষদ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাথমিকে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-র নির্দেশিকা প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে টেট সম্পর্কিত তথ্য এবং নির্দেশিকা সবিস্তারে জানিয়েছেন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। যদিও নির্দেশিকায় উল্লিখিত পরীক্ষার্থীদের উপর বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধকে ‘লোকদেখানো’ বলে আখ্যা দিয়েছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি।
টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট-এর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই আন্দোলনে নেমেছেন চাকরীপ্রার্থীরা এবং এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। তবে সেই আন্দোলনের মাঝে দুর্গাপুজোর আগে নতুন করে টেট নেওয়ার দিন ঘোষণা করেন পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল। তিনি জানিয়েছিলেন, ১১ ডিসেম্বর প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাতে ১১ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।
বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদ জানিয়েছে, ১১ ডিসেম্বর, রবিবার দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটে টেট-এর পরীক্ষা চলবে। আড়াই ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রথম পেপারে থাকবে শিশু বিকাশ ও শিশু শিক্ষাবিজ্ঞান/ পেডাগগি, আবশ্যিক ভাষা ১— বাংলা / হিন্দি /ওড়িয়া / তেলুগু / নেপালি / সাঁওতালি / উর্দু, আবশ্যিক ভাষা ২— ইংরেজি, অঙ্ক এবং পরিবেশবিদ্যা সংক্রান্ত প্রশ্ন। এই ৫টি বিভাগে ৩০ নম্বর করে মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। গোটা পরীক্ষাটি বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন (মাল্টিপল চয়েস)-নির্ভর। বাংলা এবং ইংরেজিতে পরীক্ষা দেওয়া যাবে। তবে উত্তর ভুল হলে কোনও নম্বর কাটা হবে না।
টেটের হলে পরীক্ষার্থীদের উপর বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদ জানিয়েছে, পরীক্ষার হলে হাতে লেখা বা ছাপা কোনও কাগজ নিয়ে ঢোকা যাবে না। পরীক্ষার্থীরা নিজেদের কাছে পেন্সিলবাক্স, প্লাস্টিকের ব্যাগ, ক্যালকুলেটর, স্কেল, লেখার প্যাড, পেন ড্রাইভ, রাবার, লগ টেবিল, বৈদ্যুতিন পেন বা স্ক্যানার, কার্ডবোর্ড ইত্যাদি রাখতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে। এমনকি, পরীক্ষার সময় ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ইয়ারফোন, মাইক্রোফোন বা পেজার সঙ্গে রাখাও নিষিদ্ধ। পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতর খাবারদাবার বা পানীয়ও নিয়ে ঢোকা যাবে না।
সাম্প্রতিক কালে টেট নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ডিসেম্বরে এই পরীক্ষা তা যথাসম্ভব রোখাই পর্ষদের লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পর্ষদের এই নির্দেশিকার কয়েকটিতে আপত্তি রয়েছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির। ওই সংগঠনের এক নেতা স্বপন মণ্ডল আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘পর্ষদের বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ লোকদেখানো। যেমন, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঘড়ি পরা যাবে না। পেন্সিল বা রাবারও নিয়ে ঢোকা নিষেধ। কোনও গয়নাও পরা যাবে না। এমন কিছু নির্দেশিকা বালখিল্যসম। এটা লোকদেখানো ব্যাপার।’’ তাঁর মতে, ‘‘টেট পরীক্ষায় পরিদর্শক তথা পরিচালককে নিরপেক্ষ হতে হবে। পুলিশ-প্রশাসনকেও স্বচ্ছ হতে হবে। তবেই দুর্নীতি রোখা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy