গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে তৃণমূল বিধায়ক ড. মানিক ভট্টাচার্যকে অবিলম্বে সরাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাথমিকে শিক্ষক-নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ছিল মানিকের বিরুদ্ধে। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মানিককে তাঁর পদ থেকে অবিলম্বে সরাতে হবে। তাঁর স্থলে কে আসবেন তা সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট দফতর। তার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সম্প্রতি ডেকে পাঠিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিককে। গত সোমবার তিনি সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরাও দেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই মানিককে অপসারণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। তবে সোমবারের এই রায়ের পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ বলে, মানিককে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। দুপুর ২টোর মধ্যে তাঁকে আসতে বলা হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, মানিককে আদালতে উপস্থিত থেকে টেট দুর্নীতি সংক্রান্ত বিশেষ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রাথিমক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেট-এর মেধা তালিকায় অনিয়ম হয়েছে জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন রমেশ আলি নামে এক ব্যক্তি। ২০১৪ সালে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেই মতো টেটের পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর। ফলপ্রকাশ হয়েছিল ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে। ওই বছরই প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বরেও দ্বিতীয় বা অতিরিক্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রায় ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৪২ হাজার প্রার্থীকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। রমেশের অভিযোগ ছিল এই নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তা বেআইনি। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতকে জানান, বেআইনি ভাবে দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশ করার আসল উদ্দেশ্য ছিল অতিরিক্ত প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া। এর আগে এই দ্বিতীয় তালিকায় চাকরি পাওয়া ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
(এই খবরটি সবেমাত্র দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত খবরটি কিছু ক্ষণের মধ্যেই আসছে। অপেক্ষা করুন। পাতাটি কিছু ক্ষণ পর পর রিফ্রেশ করুন। আপডেটেড খবরটি আপনি দেখতে পাবেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে সচেতন। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy