মেঘবৃষ্টির পালা শেষে কলকাতা-সহ রাজ্যে ফের চড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া দফতরের খবর, আগামী কয়েক দিনে আরও কিছুটা বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা। তবে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির কোনও আশঙ্কা এখনও আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়নি। স্বস্তিদায়ক ঝড়বৃষ্টি হবে কি না, সে ব্যাপারেও কিছু নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। আবহবিজ্ঞানীদের একাংশের পূর্বাভাস, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে কম থাকতে পারে। তাতে ঘামের অস্বস্তির বদলে যেমন শুষ্ক গরম মিলবে, তেমনই ঝড়বৃষ্টির মেঘ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে।
আবহবিদেরা জানান, গ্রীষ্মে বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়লে তা সহজেই গরম এবং হালকা হয়ে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে পৌঁছয়। বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে তুলনামূলক কম তাপমাত্রায় জলীয় বাষ্প দ্রুত ঘনীভূত হয়ে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়। তা থেকেই ঝড়বৃষ্টি হয়। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকলে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা কমে। আবহবিজ্ঞানীদের একাংশ এ-ও বলছেন যে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পের জোগান কমলে পশ্চিম দিক থেকে শুষ্ক, গরম হাওয়া ঢুকে পড়ে। তার ফলে যেমন পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ‘লু’ বইতে থাকে, তেমনই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিরও আশঙ্কা থাকে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর, এ দিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহের শেষ দু’দিনে তা ৩৭ ডিগ্রিতে পৌঁছতে পারে। দমদমের তাপমাত্রা এ দিনই ৩৭ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। তা সামান্য বাড়তে পারে। ৩৮ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকতে পারে পশ্চিমাঞ্চলের জেলা বাঁকুড়ার তাপমাত্রাও। মালদহ ও জলপাইগুড়ির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)