আর জি করের মতো আন্দোলনের দাবি তুললেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, দু’ক্ষেত্রেই দুর্নীতির সঙ্গে রাজ্যের শাসকদল জড়িত। দু’ক্ষেত্রেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকারি ব্যবস্থা। রবিবার রামপুরহাট শহরে চাকরিহারাদের মিছিল থেকে ওঠা এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন আর জি কর আন্দোলনে জড়িয়ে থাকা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, জুনিয়র চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীরাও।
এ দিন সকালে রামপুরহাটের চ্যাম্পিয়ন গ্রাউন্ড থেকে চাকরিহারাদের মিছিল শুরু হয়। বীরভূমের অনেকে ছিলেন, মুর্শিদাবাদ থেকেও অনেকে এসেছিলেন। ছিলেন কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকেরাও। ছোট সন্তানকে সঙ্গে এনেছিলেন চাকরিহারাদের কেউ কেউ। মিছিল রামপুরহাটের পাঁচ মাথা মোড়ে কিছুক্ষণ মানবশৃঙ্খল গড়ে তোলে।
সাহাপুর হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধীরকুমার দাসের আহ্বান, ‘‘কোনও রাজনৈতিক ধ্বজা ছাড়া আর জি কর আন্দোলন যেমন ভাবে সারা রাজ্য ঝড় তুলেছিল, তেমন এ আন্দোলনেও গর্জে উঠুক রাজ্য।’’ অধীরের বক্তব্যকে সমর্থন করে চাকরিহারা শিক্ষক শ্রীপর্ণা চক্রবর্তী, শুভাশ্বেতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরণ দাঁ-রা জানান, তাঁরা চান সবাই এই আন্দোলনে শামিল হোন। সঙ্গে দাবি, ‘‘সাময়িক স্বস্তিতে বিশ্বাস নেই। আমরা পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।’’
রামপুরহাট মেডিক্যালের জুনিয়র চিকিৎসক শৌভিক ঘোষ বলেন, ‘‘আর জি কর আন্দোলনে রাজ্যের সরকারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারে দুর্নীতি রয়েছে। আমরা শিক্ষকদের পাশে আছি।’’ দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বীরভূম জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছেন।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)