Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Teachers Recruitment Scam

জোচ্চুরি করে প্রধানশিক্ষক বাবার স্কুলে চাকরি! অভিযুক্তের বাবাকে শুক্রবার তলব সিআইডির

বিনা নিয়োগপত্রে গত ৩ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন অনিমেষ তিওয়ারি। মুর্শিদাবাদের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী।

Representational picture minor accused\\\\\\\'s father

আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে এ বার মুর্শিদাবাদের অভিযুক্ত শিক্ষকের প্রধানশিক্ষক বাবাকে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে তলব করল সিআইডি। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সুতি শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:২২
Share: Save:

বাবা প্রধানশিক্ষক। সেই স্কুলে শিক্ষকের চাকরির জন্য জোচ্চুরি করেছেন ছেলে। এমনকি, বিনা নিয়োগপত্রে গত ৩ বছর ধরে বেতনও পাচ্ছেন। মুর্শিদাবাদের সুতির ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে এ বার ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের প্রধানশিক্ষক বাবাকে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে তলব করল সিআইডি। ১০ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার তাঁকে কলকাতার ভবানী ভবনে হাজির হতে হবে।

এই মামলায় অভিযুক্ত সুতির গোথা এ রহমান হাই স্কুলের কর্মশিক্ষার শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি পলাতক বলে সিআইডি সূত্রের দাবি। অনিমেষের বাবা তথা ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে শুক্রবার ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে নারাজ আশিস। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কারা যুক্ত, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন সিআইডির তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই এই মামলার তদন্তে মুর্শিদাবাদ জেলার স্কুল পরিদর্শক অফিসের কর্মীদেরও ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে।

অনিমেষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে হাই কোর্টে মামলা করেছেন সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে ২০১৯ সালে বাবার স্কুলে চাকরি পান অনিমেষ। এবং সেই নিয়োগের সুপারিশপত্র দেন তৎকালীন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী দে বিশ্বাস। অভিযুক্ত অনিমেষের নিয়োগ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ওই নামে কোনও নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। সোমার অভিযোগ, তাঁকে বঞ্চিত করে ওই চাকরি পেয়েছেন অনিমেষ। এই মামলায় ১৯ জানুয়ারি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ইতিমধ্যেই অনিমেষের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমনকি, তিনি স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সিআইডি সূত্রের দাবি, যে বছর অনিমেষকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, আদপে সে বছর কোনও শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়া না হলেও জেলা শিক্ষা দফতর অভিযুক্তের নিয়োগপত্র কেন গ্রহণ করল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Teachers Recruitment Scam Suti Calcutta High Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy