প্রতীকী ছবি।
পরিবারের অন্য কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোয়রান্টিন লিভ বা নিভৃতবাসের ছুটি পাবেন। অথচ কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী নিজে করোনায় আক্রান্ত হলে নিভৃতবাসের ছুটি পাবেন কি না, শিক্ষা দফতরের সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে সেটা পরিষ্কার ভাবে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। তাই নানা ভাবে দাবি জানানোর পরে নিভৃতবাসের ছুটির বিজ্ঞপ্তি বেরোলেও শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা নিজেরা সংক্রমিত হলে তা পাবেন কি না, সেই বিষয়ে সংশয়-ধোঁয়াশা কাটছে না। এই সমস্যার সুরাহায় দ্ব্যর্থহীন ভাষায় একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারির দাবি উঠছে।
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা কোয়রান্টিন লিভের আওতায় আসবেন বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষা শিবিরের একাংশের অভিযোগ, বিজ্ঞপ্তিতে সেই বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ না-করায় শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের করোনা হলে তাঁরা ওই ছুটি পাবেন কি না, সেই বিষয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে। যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের দত্তের চক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পঞ্চানন ময়রা জানান, তাঁদের যে-সব শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বা হচ্ছেন, তিনি তাঁদের কোয়রান্টিন লিভ মঞ্জুর করতে পারছেন না। পঞ্চাননবাবু বলেন, “বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, শিক্ষকের পরিবারের কারও করোনা হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক কোয়রান্টিন লিভ পাবেন। কিন্তু শিক্ষক নিজে আক্রান্ত হলে ওই ছুটি পাবেন কি না, তার উল্লেখ নেই। ফলে ওই শিক্ষকের মেডিক্যাল লিভ বা অসুস্থতার ছুটি পড়ে থাকলে তাঁকে সেটাই নিতে হবে। আমরা চাই, শিক্ষা দফতর শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের কোয়রান্টিন লিভ নিয়ে সুস্পষ্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করুক।”
সোনারপুর এলাকার একটি স্কুলের এক শিক্ষিকা জানান, করোনায় আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও তিনি কোয়রান্টিন লিভ পাননি। ওই শিক্ষিকা বলেন, “আমার করোনা হওয়ায় প্রধান শিক্ষক আমাকে কোয়রান্টিন লিভ দিতে আগ্রহী। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকদের ওই ছুটির স্পষ্ট উল্লেখ না-থাকায় তিনি আমাকে তা দিতে পারছেন না। এই সমস্যা শুধু আমার একার নয়, অনেকেরই।”
স্পষ্ট বিজ্ঞপ্তি দাবি করেছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনও। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, “বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে প্রায় সব স্কুলেরই শিক্ষক বা শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় শিক্ষকদের কোয়রান্টিন লিভের বিষয়টি স্পষ্ট করে জানানোর দাবি করছি। পরিবারের সদস্যদের সংক্রমণ ঘটলে শিক্ষকরা কোয়রান্টিন লিভ পাবেন বলে নির্দেশিকায় বেরিয়েছে। তেমনই সংক্রমিত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরাও যাতে ওই ছুটি পান, সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে তার পরিষ্কার উল্লেখ থাকতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy