Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Teacher Recruitment Scam Case

টাকা সরে যাচ্ছে অন্য রাজ্যে! আদালতের পথে ‘মাস্টারমাইন্ড’-এর নাম বলে দিলেন শান্তনু

সোমবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে শান্তনুকে নিয়ে আদালতের পথে রওনা দেয় ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরের সদর দরজা পেরিয়ে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি।

A Photograph of Youth TMC leader Shantanu Banerjee.

আদালতে যাওয়ার পথে তৃণমূলের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪৮
Share: Save:

আদালতে যাওয়ার পথে মুখ খুললেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের যুবনেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন ‘মাস্টারমাইন্ড’-এর নাম। সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর দাবি, অন্য রাজ্যে টাকা সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে শান্তনুকে নিয়ে আদালতের পথে রওনা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিকেরা। ইডি দফতরের সদর দরজা পেরিয়ে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। জবাবে ধৃত যুবনেতা বলেন, ‘‘মাস্টারমাইন্ড হল কুন্তল (ঘোষ)। ও মিথ্যা অভিযোগ করে সকলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আর নিজের টাকাগুলো অন্য দিকে সরিয়ে দিচ্ছে।’’

শান্তনু আরও বলেন, ‘‘সকলকে বিভ্রান্ত করে অন্য রাজ্যে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে কুন্তল। আমি এ সবের সঙ্গে জড়িত নই। আমার সব সম্পত্তি বৈধ। আগামী দিনেই তা প্রমাণিত হবে।’’ এর পর কুন্তলকে আরও একবার কাঠগড়ায় তুলে শান্তনু বলেন, ‘‘কুন্তল এজেন্টদের ভয় দেখাচ্ছে। কয়েকশো এজেন্টের থেকে ও কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছে।’’

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্রেই উঠে এসেছিল শান্তনুর নাম। তাঁকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় ইডি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তার পর শুক্রবার শান্তনুকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির ডাকে হাজির হয়েছিলেন তিনি। বিকেলের পর থেকে শুরু হয় গ্রেফতারির প্রক্রিয়া। অভিযোগ, শান্তনুর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

শান্তনুর বলাগড়ের বাড়ি থেকে ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর তালিকা পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি ইডির। তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে যুবনেতার বয়ানে ‘অসঙ্গতি’ ধরা পড়ে।

কুন্তলের সঙ্গে তাঁর নাম উঠলেও কুন্তলের দাবি ছিল, তিনি শান্তনুকে চেনেন না। কিন্তু ইডির একটি সূত্রের দাবি, ২০১৪ সাল থেকেই কুন্তল এবং শান্তনু নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। শান্তনুর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy