Advertisement
E-Paper

কবে কমবে আলুর দাম, জানে না টাস্ক ফোর্সও

কলকাতার কয়েকটি বাজারের গড় দর ধরলে দেখা যাচ্ছে, জ্যোতি আলু ৩৬-৩৮ ও চন্দ্রমুখী বিকোচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।

চড়া দাম আলুর।

চড়া দাম আলুর। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৮
Share
Save

আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তার পরেও মধ্যবিত্তের কাছে আলুর দাম বহু ক্ষেত্রেই ছেঁকা দিচ্ছে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন মূল‍্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যদের অনেকেই। তাঁদের দাবি, এ রাজ্যের আলু স্টোর থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে পাইকারিকে বিক্রি করবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তা এখনও কেন স্টোর থেকে ২৯-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেই প্রশ্নের সদুত্তর নেই। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ এবং এনফোর্সমেন্ট বিভাগের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি টাস্ক ফোর্স-সদস্যদের।

কলকাতার কয়েকটি বাজারের গড় দর ধরলে দেখা যাচ্ছে, জ্যোতি আলু ৩৬-৩৮ ও চন্দ্রমুখী বিকোচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ ৬০, আদা ১০০, রসুন ৪০০-৪৫০, মটরশুঁটি ১০০- ১২০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুর্শিদাবাদে জ‍্যোতি ৩৬ ও চন্দ্রমুখী ৪০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের খুচরো বাজারে জ্যোতি কেজি প্রতি ২৮-৩০ টাকা ও চন্দ্রমুখী ৩৮-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায় কমবেশি একই দর। দুই বর্ধমানে জ্যোতি ৩০-৩৪ ও চন্দ্রমুখী ৪০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। নদিয়ায় চন্দ্রমুখীর দর কেজিতে ৪৫-৫০ টাকা। হেমাঙ্গিনী ৪০ টাকা, জ‍্যোতি ৩০ টাকা এবং নতুন আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কোচবিহারে জ্যোতি (নতুন) আলুর দর কেজি প্ৰতি ৪০- ৪৫ টাকা, জ্যোতি (হিমঘর) ৩০-৩৫ টাকা। ভুটান আলু কেজি প্ৰতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। বাজারে নেই চন্দ্রমুখী আলু। আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে কমবেশি একই দাম।

রাজ্য টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘‘গত দু’দিনে পঞ্জাব থেকে নতুন আলু রাজ্যে ঢুকেছে। পাইকারিতে এই আলুর দাম ২২ টাকা। খুচরো বাজারে ২৬ থেকে ২৭ টাকায় বিক্রি হওয়া উচিত। কিন্তু অনেক ব্যবসায়ী পঞ্জাবের পুরনো আলু বেশি দামে বিক্রি করছেন। রাজ্যের আলু স্টোর থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে পাইকারিকে বিক্রি করবেন বলে মুখ্যমন্ত্রীকে ব‍্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দিলেও, তা ২৯-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে খুচরো বাজারে দাম ৩৫-৩৬ টাকায় পৌঁছে যাচ্ছে।’’

‘চাষি ভেন্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি তথা রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের অপর সদস্য কমল দে বলেন, ‘‘এ রাজ‍্যের পেঁয়াজ জানুয়ারিতে বাজারে এসে যাবে। তখন দাম কমে যাবে।’’ গড়িয়াহাট বাজারের বাজার সমিতির সম্পাদক দিলীপ মণ্ডলের আশা, ‘‘শীতের আনাজ আসা শুরু হয়েছে। দাম কমতে শুরু করবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

STF Potatoes

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}