প্রয়াত দাদার ইচ্ছেতেই নির্দল প্রার্থী হলেন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন সদ্যপ্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভগ্নি তনিমা চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ছিল কলকাতার পুরভোটের মনোনয়নের শেষদিন। দুপুর আড়াইটের পর দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে আসনে তিনি। সেখানেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তিনি। শুক্রবার রাতে কলকাতার পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হলে দেখা যায়, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের বদলে প্রার্থী করা হয়েছে সুব্রতবাবুর বোন তনিমাকে। কিন্তু শুক্রবার রাত থেকেই প্রার্থী নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নির্দেশে তনিমার থেকে প্রতীক ফিরিয়ে নেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার।
আর বুধবার দুপুরে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেন তনিমা। জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘আমি কলকাতার বাইরে রয়েছি। তাই ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে কে প্রার্থী হবেন তা বলতে পারব না।’’ আগামী ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তৃণমূলের একাধিক নেতা বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডের বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে এ বার যুক্ত হলেন প্রয়াত সুব্রতের ভগ্নি। তনিমা ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, সুব্রতবাবুই চেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী হোন তনিমা। দল সেই ইচ্ছে পূরণ না করায়, নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ালেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে সুব্রতবাবুর ছেড়ে যাওয়া ওয়ার্ড ৮৭ থেকে জিতে তৃণমূলের প্রতীকে কাউন্সিলর হন তনিমা। কিন্তু ২০১৫ সালে ওই ওয়ার্ড থেকেই বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি। এ বার আবারও কলকাতার পুরভোটের ময়দানে সুব্রত-ভগ্নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy