প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বাবা-ছেলের। বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়েও অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছে। এই আবহে লোকসভা ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন রাজ্য সফরে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে, এমনটাই জানালেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে গেলেও তাঁর ভাই দিব্যেন্দু ও বাবা শিশির অধিকারী এখনও খাতায়কলমে তৃণমূল সাংসদ। স্থানীয় সাংসদ হিসেবেই সোমবার অমৃত ভারত রেল প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ভার্চুয়াল’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মেচেদা স্টেশনে যান দিব্যেন্দু। শিশির ছিলেন দিঘা স্টেশনে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেন দিব্যেন্দু। তার পর প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আগামী মাসে রাজ্যে আসছেন। হয়তো তাঁর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ ঘটবে।”
সেটা কি তবে রাজনৈতিক সাক্ষাৎ হবে? পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিব্যেন্দুর বক্তব্য, “রাজনৈতিক সাক্ষাৎ নয়। তবে আমি আমার দাবির কথা বলতে পারি। সতীশবাবুর নামে হল্ট স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্টেশন করার কথা হতে পারে। অনেক কিছুই হতে পারে।”
দিঘায় রেলের অনুষ্ঠানে শিশিরও মোদীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘গত ৬২ বছরে দেশে যে ক’জন প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি, তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, সবচেয়ে যোগ্য নরেন্দ্র মোদী।’’ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘যারা দলের প্রতীকে জিতে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তাঁদের আমরা পাত্তা দিচ্ছি না।’’
শুধু পূর্ব মেদিনীপুরই নয়, এ দিন রেলের এই অনুষ্ঠান ঘিরে রাজ্যের কোথাও তৃণমূল-বিজেপি বিরোধ সামনে এসেছে, কোথাও আবার দেখা গিয়েছে সৌজন্য।
এ দিন বিজেপি-তৃণমূল তরজা বাধে বীরভূমের সাঁইথিয়া স্টেশনে। অনুষ্ঠানে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান এসেও মিনিট পনেরো পরে উদ্বোধনের আগেই বেরিয়ে যান। তা নিয়ে স্টেশনে উপস্থিত বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘উনি যদি পাকিস্তানের জনগণ হন, তা হলে চলে যাবেন। ভারতীয় জনগণ হলে তাঁর থাকা উচিত ছিল।’’ সাবের পাল্টা বলেন, ‘‘আমরা যে দুশো বছর ধরে সাঁইথিয়ার বাসিন্দা, তার দলিল আছে। ওঁর দলিল আছে কি না জানা নেই। আমি রেলের আধিকারিকের আমন্ত্রণে গিয়েছি। সেখানে উনি কে?’’
মুর্শিদাবাদের অনুষ্ঠানে অবশ্য বহরমপুরের রাধারঘাট ১ পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের মেনকা বেগম হাজির ছিলেন। তিনি বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের পাশেই বসেছিলেন। মেনকা তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য রাজীব হোসেনের স্ত্রী। তিনি বলছেন, ‘‘উন্নয়নের কাজ বলেই গিয়েছিলাম।’’ শাখারভের মন্তব্য, ‘‘এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে বিরোধী জনপ্রতিনিধিদেরও ডাকা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy