Advertisement
২৯ নভেম্বর ২০২৪
Crime

পাঁচটি নাকি আরও বেশি খুন করেছে রাহুল, তদন্তে নেমে ধন্দে পুলিশ

গুজরাত পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে জেরা করে জানা গিয়েছে গত ২০ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বরের মধ্যেই সে পর পর পাঁচটা খুন করেছে। যার মধ্যে চার জন তরুণী।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:২৮
Share: Save:

গত কয়েক মাসে ঠিক কতগুলো খুন করেছিল ‘সিরিয়াল কিলার’ রাহুল ওরফে ভোলু কর্মবীর জাঠ? পাঁচটি, নাকি আরও বেশি? গুজরাত পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছে যে ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তা হলেই বোঝা যাবে, সেটি দিয়ে কতগুলো খুন করা হয়েছে!

গুজরাত পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে জেরা করে জানা গিয়েছে গত ২০ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বরের মধ্যেই সে পর পর পাঁচটা খুন করেছে। যার মধ্যে চার জন তরুণী। ২০ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে পুনে-কন্যাকুমারি এক্সপ্রেসে যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হয় এক মহিলাকে। তার কয়েক দিন পরেই সে কর্ণাটকে বেঙ্গালুরু-মুরুদেশ্বরগামী ট্রেনে খুন করে এক জনকে। ১৪ নভেম্বর গুজরাতের উর্বারাতে খুন এবং যৌন নির্যাতন করে এক তরুণীকে। সেখান থেকে পালিয়ে ১৯ নভেম্বর সে ওই তবলাবাদককে খুন করে এবং তার পর পালিয়ে যায় দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে। ২৪ নভেম্বর যে দিন গুজরাত পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে, তার আগের রাতেই সেকেন্দ্রাবাদে পঞ্চম খুন করে এক মহিলাকে। এরই পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে একটি ট্রেনে প্রতিবন্ধী কামরায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছিল কয়েক মাস আগে। সেই খুনের সঙ্গে ধৃত এই ‘সিরিয়াল কিলার’-এর যোগ রয়েছে কিনা, তার খোঁজ করা হচ্ছে।

আরও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। যেমন, হাওড়ামুখী ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস মালদহ স্টেশনে ঢোকার আগেই কি খুন করা হয়েছিল তবলাবাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে? ভোলুর কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মালদহ স্টেশন ছাড়ার পরে যে স্টেশনে প্রথম ট্রেন থেমেছিল, সেখানেই সে ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছিল। তবে গুজরাত পুলিশ সূত্রের খবর, সঠিক ভাবে কোনও স্টেশনের নাম বলতে না পারলেও অভিযুক্ত খুনের পর ওই ট্রেনের প্রতিবন্ধী কামরার জানালা এবং দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল, যাতে বাইরের থেকে নতুন করে কেউ উঠতে না পারে। এর সঙ্গে ধৃতের দাবি ছিল, ঘটনার দিন ট্রেনের ওই প্রতিবন্ধী কামরায় সে এবং তবলাবাদক ছাড়া আর কেউ ছিল না। তবে কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। তাঁরা বলছেন, অভিযুক্ত এক এক সময়ে এক এক রকম বয়ান দিচ্ছে যার ফলে ধন্দ তৈরি হচ্ছে। তাই তাকে আরও জেরা করা প্রয়োজন। এ দিকে, ভোলুকে জেরা করতে বুধবার সেখানে পৌছে গিয়েছে রাজ্যের রেল পুলিশের একটি দল। তারা ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় জেরা করেছেন বলে খবর।

রাজ্য রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, ধৃতকে যাতে দ্রুত এ রাজ্যে নিয়ে আসা যায় তার জন্য গুজরাত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা হচ্ছে। আদালতেও ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসার আবেদন করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Railway Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy