—প্রতীকী ছবি।
যাদবপুরের পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকও আপাতত হচ্ছে না। আজ, মঙ্গলবার এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের অনুমতি ছাড়া এই বৈঠক ডাকতে নিষেধ করে রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতর। এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও একই ভাবে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকতে বারণ করা হয। তখন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, বৈঠক ডাকা হলে তাঁরা বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনবেন। যাদবপুরের মতো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও শেষ পর্যন্ত বৈঠক এখন না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উচ্চ শিক্ষা দফতর বারণ করার পরেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অবশ্য তাদের কাছে বৈঠকের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস বলেন, ‘‘নানা ভাবে উচ্চ শিক্ষা দফতরে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সাড়া না-মেলায় বৈঠক এখন হচ্ছে না।’’
অবশ্য কিছুদিন আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠক দফতরের অনুমতি ছাড়াই হয়েছিল। তখনও বৈঠক না-করার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ শিক্ষা দফতর। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি চেয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতরে আর্জি জানিয়েছিলেন। সাড়া না পেয়েও তাঁরা বৈঠকে বিরত থাকেননি। কিন্তু এ বার বৈঠক স্থগিত রাখারই সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে যে চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয় তাতে লেখা ছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও স্থায়ী উপাচার্য এখন নেই। অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-র কাজ শুধু উপাচার্য পদের দায়িত্ব সামলানো। সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকার এক্তিয়ার তাঁর নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকা হলে তা বিধি ভঙ্গের শামিল। সেই অনুমতি উচ্চ শিক্ষা দফতর দেয়ওনি। তৃণমূলের দুই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা এবং এবিএসজিসিটিএ-র তরফেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বৈঠক না-করার অনুরোধ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy