অব্যবস্থাপনাকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ‘মৃত্যুকুম্ভ’। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে স্নান সেরে তাকে ‘অমৃতকুম্ভ’ আখ্যা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রয়াগরাজে গিয়ে স্নান সেরে শুক্রবার সন্ধ্যাতেই কলকাতায় ফিরে এসেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতার পাল্টা বক্তব্য, “উনি জানেন না, ওঁর দলের কত জন গিয়ে (কুম্ভ) স্নান করেছেন! কেউ কেউ ছবি দিয়েছেন, বাকিরা ছবি দেননি।’’ কুম্ভের ‘সু্ন্দর ব্যবস্থাপনা’র প্রশংসা করার পাশাপাশিই শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মহাকুম্ভ এবং হিন্দুদের অসম্মান করে যা বলেছেন, তার শাস্তি মা গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী দেবেন!’’ সমাজমাধ্যমেও বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, ‘এই পবিত্র মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান এক বিশেষ অনুভূতি, যা ভাষায় বর্ণনা করা অসম্ভব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ এবং সে রাজ্যের প্রশাসনকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই সুন্দর, সুব্যবস্থার জন্য।’ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য বিরোধী দলনেতাকে ‘তৎকাল হিন্দু’ বলে কটাক্ষ করে বলেছেন, “শাস্ত্র মতে পুণ্যস্নান তো হয়নি! শাস্ত্র বলে, মাথা পুরোটাই জলের নীচে থাকবে। উনি তো নাক ডুবিয়েছেন!”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)