আশ্বাস: নিহত কুরবান শা-র পরিবারের সঙ্গে শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি তথা পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কুরবান শা’র খুনের ২৪ ঘণ্টা পরেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। সোমবার, নবমীর রাতে দলীয় কার্যালয়ে খুন হন কুরবান। ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার কুরবানের দেহ নিয়ে পাঁশকুড়ার মাইশোরায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছন রাজ্যের পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। যান জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারীও। খুনের সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। এ দিন রাতে নিহতদের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জন আনিসুর অনুগামীকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার রাতে মাইশোরা বাজারে নিজের অফিসে বসেছিলেন কুরবান। সঙ্গে ছিলেন আরও চারজন। পুজোর জন্য সন্ধ্যার পর মাইশোরা বাজারে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত ১০টা নাগাদ তিনটি বাইকে জনা সাতেক দুষ্কৃতী কুরবানের অফিসের সামনে হাজির হয়। অভিযোগ, বাইক থেকে নেমে চারজন দুষ্কৃতী সটান ঢুকে যায় কুরবানের অফিসে। একজন দরজায় পাহারায় ছিল। দুষ্কৃতীরা অফিসে ঢুকে কুরবানের সঙ্গে থাকা চারজনকে রিভলভার উঁচিয়ে চুপ থাকার হুমকি দেয়। বিপদ আঁচ করতে পেরে কুরবান টেবিলের আড়ালে লুকোতে যান। ওই চারজনের দাবি, সেই সময় দুই দুষ্কৃতী কুরবানের মাথায় পর পর গুলি করে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন কুরবান। কুরবানের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর দুষ্কৃতীরা বাইকে চড়তে গেলে কুরবানের অনুগামীরা তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা দুষ্কৃতীরা গুলি ছুঁড়লে ভয়ে তারা পিছু হটে। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলে স্থানীয় এক চিকিৎসককে ডেকে আনে কুরবানের অনুগামীরা। তিনি কুরবানকে মৃত ঘোষণা করেন।
দলীয় সূত্রে খবর, কুরবানের সব সময়ের একজন দেহরক্ষী থাকলেও ওইদিন তিনি তাঁকে ছুটি দিয়েছিলেন। দেহরক্ষীর ছুটিতে থাকার সুযোগই কি দুষ্কৃতীরা নিল, কুববান খুনে সেই প্রশ্ন উঠেছে দলে। প্রত্যক্ষদর্শী বাপি মণ্ডল বলেন, ‘‘গুলির আওয়াজ পেয়েই আমরা প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করি। কিন্তু দুষ্কৃতীরা গুলি চালানোয় পিছু হটতে হয়।’’
এদিন তমলুক জেলা হাসপাতালে কুরবানের দেহের ময়নাতদন্তের পর পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কুরবানের দেহ নিয়ে আসেন মাইশোরায়। ঘটনার রাতে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানই কুরবানকে খুন করিয়েছেন। এদিন আনিসুরের নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘কার পরামর্শে ও নেতৃত্বে এই খুন তা সবাই জানে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’’ এদিন কুরবানের বাড়িতে যান সাংসদ শিশির অধিকারী, কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রও। মৃত কুরবানের দাদা আফজল শা বলেন, ‘‘আমাদের সন্দেহ আনিসুর ভাইকে খুন করিয়েছে। আমরা সিআইডি তদন্ত চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy