বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শুভেন্দু অধিকারী। — নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতি পেয়েই শুক্রবার ধর্মতলায় সিইএসসি-র প্রধান দফতর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ধর্নায় বসেছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ‘বড়’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। বিদ্যুতের মাসুল না কমালে আগামী দিনে আবারও ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ধর্না দেবেন বলেও জানান তিনি। তবে এ বার এক দিন নয়, টানা পাঁচ দিন ধর্নায় বসবেন বলেও জানান শুভেন্দু।
বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধি নিয়ে গত সোমবার প্রতিবাদ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু পুলিশ সেই কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি। পরে তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ। আদালত বিজেপিকে ধর্নার অনুমতি দেয়। শুক্রবার দুপুরে মুরলীধর সেন লেন থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় এসে পৌঁছন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন শুভেন্দু। তার পর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ধর্নায় বসেন তাঁরা।
সেই ধর্না কর্মসূচি থেকে রাজ্য সরকার এবং সিইএসসিকে এক যোগে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। শুক্রবার তিনি মনে করিয়ে দেন বিদ্যুতের মাসুল কমানোর দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন এখনই থামাবে না বিজেপি। তিনি বলেন, ‘‘এই আন্দোলন শুরু হল সবে। অগস্ট মাসে সিইএসসি এলাকায় বিক্ষোভ চলবে। এ বার আর এক-দু’দিন বা এক-দু’ঘণ্টার জন্য বিক্ষোভ নয়, লাগাতার পাঁচ দিন ধর্না দেবে বিজেপি।’’
বিদ্যুতের মাসুল কমানোর জন্য সিইএসসিকে সময়সীমাও বেঁধে দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘সিইএসসিকে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত সময় দিলাম। যদি না কমে তবে টানা পাঁচ দিন এখানে ধর্না দেব। আশা করব, বাড়তি মাসুল প্রত্যাহার করে নেবে সিইএসসি, আর বিজেপিকে পথে নামতে হবে না।’’ একই সঙ্গে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, সিইএসসি তৃণমূলের ছাড়পত্র পেয়েই বিদ্যুতের বিল বাড়িয়েছে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু শুক্রবার আরও বলেন, ‘‘একচেটিয়া ব্যবসার বীজ সেই সিপিএম আমলে বপন হয়েছিল। সেই ব্যবসা ৪০০ কোটিতে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। ২০২২ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ‘ইলেকট্রিক রিফান্ডস বিল’ এনেছিল। সেই বিলে একচেটিয়া ব্যবসা তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। খুব শীঘ্রই বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে একচেটিয়া ব্যবসা আটকাতে কেন্দ্র সেই আইন আনবে।’’ শুভেন্দু এ-ও জানান, শুধু সিইএসসি ভবন নয়, ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ভবন অভিযানেও নামতে পারে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy