ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ পথে মহিলা চালকদের যে ট্রেন চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় না, ইঞ্জিনে শৌচাগারের ব্যবস্থা না-থাকা তার অন্যতম কারণ বলে রেল সূত্রের খবর। বস্তুত, রেল ইঞ্জিনে শৌচাগারের সুবিধা না-থাকায় প্রায়ই সমস্যায় পড়তে হয় ট্রেনচালকদের। গত কয়েক বছরে মহিলারা বেশি সংখ্যায় ট্রেনচালকের ভূমিকায় এগিয়ে আসায় ওই শৌচাগারের অভাব আরও বেশি করে অনুভূত হচ্ছে।
ট্রেনচালকদের, বিশেষত মহিলা চালকদের অসুবিধার বিষয়টি রেল বোর্ডের নজরে আসায় দেশের ১৭টি জ়োনে ট্রেনচালকদের মধ্যে বিশেষ সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে রেল। এই বিষয়ে বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট জ়োনের চিফ ইলেকট্রিক্যাল লোকোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সারা দেশে বৈদ্যুতিক এবং ডিজ়েল মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার রেল ইঞ্জিন রয়েছে।
কমবেশি ৬০ হাজার ট্রেনচালক রয়েছেন দেশে। তাঁদের মধ্যে মহিলা চালকের সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি। সমীক্ষার অঙ্গ হিসাবে মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেনচালকদের অভিজ্ঞতা ও অভিমত জানতে চাওয়া হবে। ২০১৬ সালে সুরেশ প্রভুর হাত ধরে প্রথম বায়ো টয়লেট বা জৈব শৌচাগারযুক্ত রেল ইঞ্জিনের সূচনা হয়। কিন্তু সেই কাজ খুব বেশি এগোয়নি। সারা দেশে জৈব শৌচাগারের সুবিধা আছে ১০০টির কম ইঞ্জিনে। রেল ইঞ্জিনে যে-ধরনের যন্ত্রাংশ থাকে, তার কার্যকারিতার কথা মাথায় রেখে সেখানে জৈব শৌচাগার বসানোর বিষয়টি পরের দিকে সে-ভাবে গুরুত্ব পায়নি। সাধারণ ভাবে চালকদের গড়ে চার থেকে ছ’ঘণ্টা ট্রেন চালাতে হয়। সব সময় একটানা না-হলেও অনেক ক্ষেত্রে দূরপাল্লার ট্রেনে টানা কয়েক ঘণ্টা ট্রেন চালাতে হয়। প্রতিকূল আবহাওয়া, ভূপ্রকৃতি— অনেক কিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হয় চালকদের।
রেল সূত্রের খবর, ইঞ্জিনে শুধু ‘ইউরিনাল’ বা প্রস্রাবাগার, না, পুরোদস্তুর শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হবে, সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ট্রেনচালক সংগঠনগুলি অবশ্য সম্পূর্ণ শৌচাগারের বন্দোবস্ত করার দাবি জানিয়েছে। সমীক্ষায় উঠে আসা মতামত খতিয়ে দেখে ইঞ্জিনের প্রযুক্তিগত বিষয় এবং নকশা চূড়ান্ত করার দিকে এগোতে পারে রেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy