বিজেপি নেতা কবীরশঙ্কর বসুর বিরুদ্ধে দু’টি পুরনো মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তিনি তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন জামাই। তৃণমূল কর্মীদের মারধর এবং এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে ২০২০ সালে কবীরশঙ্করের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। শুরুতে রাজ্য পুলিশই ওই মামলাগুলির তদন্ত চালাচ্ছিল। পরে এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। চার বছর পর পুলিশের রুজু করা সেই মামলার তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের হাতে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পঙ্কজ মিথল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ ওই মামলাগুলির তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
দু’টি মামলাই প্রায় চার বছরের পুরনো। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ওই দুটি অভিযোগ জমা পড়েছিল পুলিশের কাছে। তবে ওই অভিযোগগুলি অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা। কবীরের অভিযোগ, কল্যাণ তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা। কবীরশঙ্করের দাবি, ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁর উপর হামলা হয়েছিল। এমনকি তাঁর নিরাপত্তাকর্মীদের উপরেও হামলা হয়েছিল। সেখান থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। কিন্তু সেই রাতে প্রায় দু’শো দুষ্কৃতী তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হন। দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত ছিলেন বলে দাবি বিজেপি নেতার। পুলিশের মদতেই ওই হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁর।
আরও পড়ুন:
বিজেপি নেতার দাবি, তিনি যখন থানায় অভিযোগ জানাতে যান, তখন পুলিশকর্মীরাও তাঁদের নিরুপায় অবস্থার কথা জানিয়েছিলেন তাঁকে। কবীরশঙ্করের অভিযোগ, তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের উপর চাপ দেওয়া হয়েছিল। মামলাটি অনেক দিন ধরেই সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন ছিল। ২০২০ সালে বিজেপি নেতার উপর দায়ের হওয়া ওই এফআইআরগুলির উপর ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। বুধবার অভিযোগগুলির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ।