ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ। নিজস্ব ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেল রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। কার নির্দেশে ‘অবৈধ’দের চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করা হয়েছে আদালতে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার দায়িত্বভার সিবিআইকে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উচ্চ ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ তা বহাল রাখে। তাতেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। যার অর্থ, এখনই ওই তদন্ত করবে না সিবিআই। পাশাপাশিই, আদালত জানিয়ে দিল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকেও আপাতত সশরীরে হাই কোর্টে হাজির হতে হবে না।
‘অবৈধ’ নিয়োগের অভিযোগের ভিত্তিতে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে কমিশনের পক্ষ থেকে গত সেপ্টেম্বরে পুনর্বহালের আবেদন করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। যার প্রেক্ষিতে কমিশনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের জন্য অন্য কাজের ব্যবস্থা করা হোক। তবে শিক্ষকতার কাজ নয়। কারণ, তা হলে যোগ্যরাই চাকরি পাবেন না। এর পরেই আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে তারা জানায়, ত্রুটি বুঝতে পেরেই ওই আবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। স্কুল শিক্ষা সচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। একক বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। সেই আবেদন ফিরিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর যে, কমিশন কী ভাবে অবৈধদের চাকরি দেওয়ার এ রকম একটা আবেদন করল? কী ভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ অযোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করানোর কথা ভাবা হল?’’ এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy