নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের করা মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ পাঁচ জনের জামিন নিয়ে একমত হতে পারেনি কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে দুই বিচারপতির ভিন্ন মত হয়েছিল। মামলাটি গিয়েছিল তৃতীয় বেঞ্চে। সেখান থেকেও জামিন পাননি পার্থেরা। হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পার্থ যে মামলা করেছিলেন, তাতে সিবিআইকে নোটিস জারি করল শীর্ষ আদালত। আগামী ২০ মার্চ এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
সাধারণত, কোনও পক্ষ মামলা করলে ওই মামলায় অন্য পক্ষদের নোটিস জারি করে বিষয়টি জানানো হয়। শুনানির দিন যাতে সব পক্ষ হাজির থাকতে পারে, তাই আগে থেকে এই নোটিস দেওয়া হয়। শুক্রবার পার্থের মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠলে সেই ধরনের একটি নোটিসই সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির করা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সিবিআইয়ের মামলার কারণে তাঁর জেলমুক্তি হয়নি। এই মামলা থেকেও জামিন চেয়ে পার্থ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পার্থ-সহ ন’জনের মামলা উঠেছিল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। গত ২০ নভেম্বর এই মামলার রায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু দুই বিচারপতি জামিন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে একমত হতে পারেননি। ন’জনেরই জামিন মঞ্জুর করেছিলেন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পার্থ-সহ পাঁচ জনের জামিনের বিপক্ষে মত দেন বিচারপতি সিংহ রায়। তালিকায় ছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং অশোককুমার সাহা।
ডিভিশন বেঞ্চ থেকে এর পর মামলাটি সুরাহার জন্য বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর একক বেঞ্চে পাঠান কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। পার্থদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন তিনিও। ফলে পার্থের জেলমুক্তি হয়নি। বৃহস্পতিবার জামিনের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পার্থ। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, সুপ্রিম কোর্ট থেকে ইডির মামলায় পার্থ জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু সিবিআইয়ের মামলার কারণে এখনও তাঁকে জেলে থাকতে হচ্ছে। শুক্রবার সিবিআইকে এ বিষয়ে নোটিস জারি করল আদালত।