Advertisement
২৫ অক্টোবর ২০২৪
Upper Primary Recruitment Case

উচ্চ প্রাথমিক মামলা খারিজ করল চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই ১৪ হাজার পদে হবে নিয়োগ

উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা করা হয়েছিল, তা খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ হবে।

উচ্চ প্রাথমিক মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।

উচ্চ প্রাথমিক মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩৭
Share: Save:

উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা করা হয়েছিল, তা খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করল না শীর্ষ আদালত।

উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। ওই নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজীব ব্রহ্ম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। ফলে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন করে জট তৈরি হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জট কাটল।

শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকের মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠেছিল। আদালত জানিয়েছে, ১৪ হাজার শূন্যপদে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ হবে। নিয়োগপত্র দিতে বাধা নেই। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না।

উচ্চ প্রাথমিক মামলায় গত ২৮ অগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়ে জানিয়েছিল, নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তার ভিত্তিতে তারা কাউন্সেলিং করে চাকরিতে নিয়োগ করবে। আদালতের ওই রায়ের ফলে প্রায় আট বছর পরে ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ শুরু করেছিল এসএসসি। শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের হওয়ায় আবার প্রক্রিয়া থমকে যায়।

উচ্চ প্রাথমিক মামলায় যাঁরা নিয়োগের পক্ষে, তাঁদের আইনজীবী ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেও তিনি ছিলেন। শীর্ষ আদালতের রায়ের পর কল্যাণ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মৌখিক পর্যবেক্ষণ, ২০১৬ সাল থেকে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বার বার নাক গলানো উচিত নয়। এর ফলে বাম ও বিজেপির চক্রান্ত খারিজ হয়ে গেল।’’

২০১৫ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিকের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশে বার বার ১৪ হাজার পদে নিয়োগ স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। তার পর ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তখন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্যানেল প্রকাশ করা যেতে পারে, তবে কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসসি। এর পরে মামলাটি যায় নতুন ডিভিশন বেঞ্চে। গত ১৮ জুলাই বিচারপতি চক্রবর্তী এবং বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত শুনানি শেষ হয়। রায় ঘোষণা হয় ২৮ অগস্ট।

এসএসসির এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কাউন্সেলিংয়ের সময় এখানে সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি। তফসিলি জাতি এবং জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। এমনকি, সেখানে মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়েও ত্রুটি ছিল বলে আদালতে জানান মামলাকারীদের আইনজীবী। ওএমআর শিটেও গোলমালের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। অবশেষে আট বছর পর নিয়োগের জট কাটল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE