বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে এবং ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। ছবি ফেসবুক।
সংগঠনের ‘প্রকৃত চিত্র’ সম্পর্কে দিল্লিতে যে সঠিক রিপোর্ট যাচ্ছে না, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল বিজেপির অন্দরের আলোচনায়। আর সেই ‘রোগ’ সারাতে এ বার নিজেরাই নিচু তলায় বৈঠক করবেন বঙ্গ বিজেপির ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল ও পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে।
সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির দু’দিনের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে সংগঠন সংক্রান্ত আলোচনায় উঠে এসেছে যে, মণ্ডল স্তরের পরে কার্যত বিজেপির কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। কমিটি যা আছে, সব খাতায় কলমে। বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্ব নেই। এর পরেই পাণ্ডে জানান, এ বার তাঁরা নিজেরাই জেলায় জেলায় ঘুরে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন। সঙ্গে থাকবেন রাজ্যের নেতারা। এই আবহেই কার্যত সংগঠনের খোলনলচে বদলাতে উদ্যোগী হয়েছে দল। দলের দুই সাধারণ সম্পাদক লকেটচট্টোপাধ্যায় ও অগ্নিমিত্রা পালকে মহিলা ও যুব মোর্চার ভার দেওয়া (ইন-চার্জ) হয়েছে। আর এক সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণকে ওবিসি মোর্চার ভার দেওয়া হয়েছে। তফসিলি জাতি, জনজাতি ওসংখ্যালঘু মোর্চার ভার পেয়েছেন যথাক্রমে রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী, ক্ষুদিরাম টুডু ও মাফুজা খাতুন।
বিভিন্ন জ়োন এবং বিভাগের পর্যবেক্ষক ও আহ্বায়ক পদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। লকেটকে রাঢ় বঙ্গের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। নবদ্বীপ জ়োনের আহ্বায়ক করা হয়েছে ফাল্গুনী পাত্রকে। কলকাতা জ়োনের পর্যবেক্ষক হয়েছেন অগ্নিমিত্রা। আহ্বায়ক করা হয়েছে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে। কলকাতা বিভাগের আহ্বায়ক করা হয়েছে কাউন্সিলর সজল ঘোষকে। হাওড়া-হুগলি-মেদনীপুর জ়োনের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোকে। উত্তরবঙ্গ জ়োনের আহ্বায়ক হয়েছেন দীপক। মালদহ বিভাগের পর্যবেক্ষক হয়েছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। উল্লেখযোগ্য ভাবে বাদ পড়েছেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি এখনও খাতায়-কলমে দলের রাজ্য সহ-সভাপতি।
সূত্রের খবর, বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে স্থানীয় বিষয় নিয়ে দলকে আন্দোলনমুখী হতে বলেছেন নেতারা। এক নেতার বক্তব্য, দলকে নিচু স্তরে শক্তিশালী করতে হলে স্থানীয় বিষয় নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। কলকাতায় ভিড় করলে বুথে দল শক্তিশালী হবে না। সেই পরিকল্পনা যাতে করা যায়, তা-ও নেতৃত্বের জেলা সফরে তুলে ধরা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘দীপাবলির পরে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আমরাও জেলা সফরে যাব। বৈঠক করব। নিচু তলায় কাজ করতে কী অসুবিধা হচ্ছে, জানার চেষ্টা হবে। কী কী ভাবে পরিকল্পনা করে পঞ্চায়েতে এগোনো যায়, সেই বিষয়ে মতামত শোনা হবে। সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাদের পরামর্শ দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy