Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Sukanya Mandal

‘যা সত্যি, বলে এসেছি সব’, কেষ্ট-কন্যা বললেন ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে, জেরা চলল সাড়ে সাত ঘণ্টা

দিল্লিতে ইডির দফতরে পর পর গত তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। বুধ, বৃহস্পতির পর শুক্রবারও দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। বেরিয়ে জানান, যা সত্যি, সব জানিয়ে এসেছেন।

টানা তিন দিন ইডির জেরার মুখে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।

টানা তিন দিন ইডির জেরার মুখে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। — ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৪৪
Share: Save:

প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে চলল জিজ্ঞাসাবাদ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ দিল্লিতে ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে এলেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। বেরিয়ে জানালেন, যা সত্যি, সব জানিয়ে এসেছেন ইডি আধিকারিকদের।

দিল্লিতে ইডির দফতরে পর পর গত তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। বুধ, বৃহস্পতির পর শুক্রবারও দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। সেখানে দীর্ঘ জেরার পর বেরিয়ে সুকন্যা বলেন, ‘‘যা সত্যি, সবটাই বলে এসেছি।’’ যদিও ঠিক কী বলেছেন, তা নিয়ে মুখ খোলেননি ইডি আধিকারিকরা।

ইডির দিল্লির দফতরে বুধবার প্রায় আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুকন্যাকে। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে ইডির দফতরে ঢুকে সন্ধ্যায় বার হন তিনি। বৃহস্পতিতে বেরোনোর সময় সুকন্যাকে জানানো হয়, শুক্রবার আবার আসতে হবে। সেই মতো শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি ঢোকেন ইডির দফতরে। সূত্রের দাবি, পেশায় স্কুল শিক্ষক সুকন্যার অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা কী ভাবে এল, সেটাই বার বার জনতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এ প্রশ্নের জবাব বারে বারেই এড়িয়ে গিয়েছেন সুকন্যা। যা জবাব দিয়েছেন, তাতে কোনও মতেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি তদন্তকারীরা। সুকন্যার পাশাপাশি বুধ এবং বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে ডেকে জেরা করা হয়েছে অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। শুক্রবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়।

ইডির দাবি, ২০১৪ সালের আগে সুকন্যার বছরে আয় ছিল ৩ লাখ টাকার মতো। ২০১৫ সালে থেকে লাগাতার আয় বেড়েছে তাঁর। গত দু’বছরে সুকন্যার বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, বোলপুরে ‘ভোলেবোম’ নামে একটি চালকলের যৌথ মালিকানা রয়েছে সুকন্যার। দু’টি সংস্থারও ডিরেক্টর তিনি। ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার ‘ফিক্সড ডিপোজ়িট’ রয়েছে। গরু পাচার-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অনুব্রত এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। সেই তদন্তে নেমেই সুকন্যার এই বিপুল সম্পত্তির হদিস মিলেছে বলে খবর। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, গরু পাচারের টাকাতেই হয়তো ফুলেফেঁপে উঠেছেন সুকন্যা।

সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম নোটিস পাঠিয়ে ২৭ অক্টোবর দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু, বান্ধবীর চিকিৎসার জন্য তিনি ভিন্‌ রাজ্যে থাকায় হাজিরা দিতে পারবেন না বলে ইডিকে জানিয়েছিলেন অনুব্রত-কন্যা। এর পর ২৭ তারিখ রাতেই সুকন্যাকে ইমেল করে ফের ২ নভেম্বর দিল্লিতে তলব করা হয়। অনেকেই মনে করেছিলেন, সুকন্যা হয়তো এ বারও এড়িয়ে যাবেন জেরা। শেষ পর্যন্ত তিনি দিল্লি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। এর আগে বোলপুরে সুকন্যার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জেরা করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থা বারে বারেই দাবি করে এসেছে, তদন্তে যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন না সুকন্যা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy