বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।
রাজ্যের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে কি বিজেপি প্রার্থী দিতে পারবে? সোমবার নিজের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে বসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এমন এক মন্তব্য করেছেন, যা সেই প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে। যদিও মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে একে দলের ‘কৌশল’ (স্ট্র্যাটেজি) বলেও দাবি করলেন তিনি। সুকান্তের এই দাবি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
দক্ষিণ দিনাজপুরে বংশীহারিতে এ দিন সুকান্ত বলেন, ‘‘যে আসনে বিজেপির প্রার্থী নেই, ফাঁকা থাকবে, বুঝতে হবে, কৌশলগত ভাবে তা ফাঁকা রাখা হয়েছে। অন্যদেরও খেলতে দিতে হবে। সবই যদি আমরা খেলি, ছোটখাটো যারা আছে, তারা খেলবে কোথায়?’’
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যদি কৌশলগত কারণেই বিজেপি সব আসনে প্রার্থী না দেয়, তা হলে সেই সব আসনে বিজেপি কর্মীরা কাকে ভোট দেবেন? এর সরাসরি জবাব সুকান্ত দেননি। উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন, “কৌশল সংবাদমাধ্যমে বলার জন্য নয়। কী করতে হবে আমরা কর্মীদের সঠিক সময় জানিয়ে দেব।” যে সব আসনে বাম-কংগ্রেস জেতার মতো জায়গায় রয়েছে, অথচ বিজেপির কোনও প্রার্থী নেই— সেই আসনে কি তৃণমূলকে হারাতে বাম-কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থন করবে বিজেপি? সুকান্তর জবাব, “এই নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। যা বার্তা দেওয়ার জেলা সভাপতিদের মাধ্যমে কর্মীদের কাছে পৌঁছে যাবে।”
দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকারের অবশ্য মন্তব্য, ‘‘জেলার সব জায়গায় বুথস্তরে বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু জায়গায় নিশ্চয়ই রয়েছে। তাই সব জায়গায় ওঁরা প্রার্থী খুঁজে পাবেন না বলে, আগে থেকে ব্যর্থতা ঢাকার যুক্তি সাজিয়ে রাখলেন।’’ মৃণালের টিপ্পনী, বিজেপির কেউ যদি মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েছেন বলে জানতে পারলে তিনি সাহায্য করবেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এ দিন বিভিন্ন ব্লক অফিস ঘুরে দেখেন সুকান্ত। বালুরঘাট, তপন, গঙ্গারামপুর, বংশীহারি, হরিরামপুর ব্লকে দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন ঠিক ভাবে জমা দিচ্ছেন কি না, কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, খোঁজ নেন। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। বংশীহারিতে সুকান্ত মেনে নেন, গত পঞ্চায়েত ভোটে যে ভাবে রাজ্য জুড়ে ‘সন্ত্রাসের পরিবেশ’ তৈরি হয়েছিল, এ বার এখনও পর্যন্ত তেমনটা নেই। তবে সুকান্তের দাবি, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা প্রার্থী তালিকা তৈরি নিয়ে ব্যস্ত। তাই মনোনয়ন তোলা-জমা দেওয়ার কাজে এখনও বিরোধীদের বাধা দিতে আসরে নামার সুযোগ পাননি। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র অম্বরীশ সরকার বলেন, ‘‘তাই যদি হয়, তবে হারার পরে ‘সন্ত্রাস, সন্ত্রাস’ করে চিৎকার করবেন না যেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy