রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল ছবি।
আলিপুরদুয়ারে সাত বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে ‘এনকাউন্টার’ তত্ত্বই দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘যত দিন এই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় রয়েছেন, তত দিন এমন ঘটনা ঘটবে। যোগী-রাজ্যে এমন কিছু ঘটলে আদালত পর্যন্ত যেতে হত না। রাস্তাতেই পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে নিত।’’ ঘটনাচক্রে, কয়েক দিন আগে আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গিয়েছিল, ‘এনকাউন্টার করা উচিত’।
গণধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে সাত বছরের নাবালিকাকে— এমনই ধারায় মামলা রুজু করে এর মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। তদন্তকারীদের দাবি, দেহ পুড়িয়ে দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও হয়েছিল। তবে বৃষ্টিতে সে ছক খাটেনি। ঘটনায় ধৃত তিন জনকে বুধবার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ দিন ধৃতদের পক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড়াতে না চাওয়ায়, ‘লিগ্যাল এড’-এর তরফে আইনজীবী দেওয়া হয়। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘‘পকসো মামলা রুজু করা হয়েছে। তার মধ্যেই গণধর্ষণ, খুন-সহ একাধিক ধারা রয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পরে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।’’
তদন্তকারীদের অনুমান, ১৫ অক্টোবর মূল অভিযুক্ত সাত বছরের ওই বালিকাকে ‘ফাস্ট ফুড’ খাওয়ানো নামে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে, তিন অভিযুক্ত তাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে যেখানে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানেই তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ঘটনার পাঁচ দিন পরে, গত শনিবার অন্য দুই অভিযুক্ত বালিকার দেহে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে। তবে সে সময় বৃষ্টি হওয়ায় তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মঙ্গলবার নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। জেরার মুখে পুলিশের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করে সে।
এ দিন নিহত নাবালিকার বাড়িতে যাওয়ার পথে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তাকে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। বিস্তা বলেন, ‘‘পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে, ফের এক বার তা স্পষ্ট হল। বিজেপি সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় এলে মানুষের পুলিশ হবে, কোনও দলের নয়।’’ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, ‘‘আইন ব্যবস্থার উপরে আমাদের আস্থা রয়েছে। আর বিজেপি-শাসিত রাজ্যে পুলিশ কাদের দলদাস, সেটা সবাই জানেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy