সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। —ফাইল চিত্র।
আইসিসিইউ থেকে ফের কেবিনে স্থানান্তরিত করা হল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে, মঙ্গলবার রাতে। গত ৭ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ আচমকা রক্তচাপ মারাত্মক কমে যাওয়া এবং নাড়ির গতি বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি কার্ডিয়োলজি বিভাগের এক নম্বর কেবিন থেকে ‘ইনটেনসিভ কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট’ (আইসিসিইউ)-এ নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, শনিবার রাতে ‘কাকু’র অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফি করা হয়। সেই রিপোর্টে দেখা যায়, তাঁর রক্তবাহী ধমনীতে ক্যালসিয়াম জমে রয়েছে। ফলে বিক্ষিপ্ত
ভাবে বিভিন্ন জায়গায় রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা ওই সমস্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন। গত ৭ ডিসেম্বর যে সমস্যা দেখা গিয়েছিল, তার সঙ্গে হৃদযন্ত্রে যে সমস্যা মিলছে, তার সামঞ্জস্য মিলিয়ে দেখতে চাইছেন চিকিৎসকেরা। তবে এখনই কোনও অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টির প্রয়োজন চিকিৎসকেরা মনে করছেন না বলেই খবর। তার পরেই ‘কাকু’-কে কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়।
এ দিকে ‘কাকু’র চিকিৎসা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক রিপোর্টে নানা ধোঁয়াশা রয়েছে বলে দাবি ইডির। ‘কাকু’-র শারীরিক সেই সব রিপোর্ট দ্বিতীয় বার পর্যবেক্ষণ করার জন্য এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মঙ্গলবার বলা হয়েছে বলে ইডির দাবি। হাসপাতাল সূত্রের দাবি, সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট ও চিকিৎসদের মতামত সবই ইডিকে জানানো হবে।
তদন্তকারীদের দাবি, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত এসএসকেএম-এ ‘কাকু’-র নানা শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালের কাছ থেকে ওই সব পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়ে দিল্লি সদর দফতরে পাঠায় ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, ওই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হলে রিপোর্টে একাধিক ‘ধোঁয়াশা’-র কথা বলেন চিকিৎসকেরা।
উল্লেখ্য, ‘কাকু’-র বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। ইডির দাবি, তার আগে ও পরের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে যত রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে, তা দেখেও প্রাথমিক ভাবে ‘ধোঁয়াশা’-র কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাই ফের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy