Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Subal Manna Controversy

শিশিরের পা ছুঁয়ে বিপাকে! কেন তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা, কারণ দর্শাতে বলে তৃণমূল কাউন্সিলরদের চিঠি সুবলের

গত ২৩ ডিসেম্বর কাঁথির এক অনুষ্ঠানে বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে তাঁকে নিজের গুরুদেব বলে সম্বোধন করেন সুবল।

(বাঁ দিকে) শিশির অধিকারী এবং সুবল মান্না। —ফাইল চিত্র।

(বাঁ দিকে) শিশির অধিকারী এবং সুবল মান্না। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:১০
Share: Save:

দলীয় নেতৃত্ব ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিলেও এখন কাঁথির পুরপ্রধান পদে থেকে গিয়েছেন সুবল মান্না। বাধ্য হয়ে তাঁকে অপসারণের জন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনেন পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরেরা। তাঁদেরই এ বার পাল্টা চিঠি ধরালেন সুবল। জানতে চাইলেন তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কারণ। এ নিয়ে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের কটাক্ষ, চেয়ার আঁকড়ে ধরে রাখার জন্যই এ সব করছেন পুরপ্রধান!

গত ২৩ ডিসেম্বর কাঁথির এক অনুষ্ঠানে বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে তাঁকে নিজের গুরুদেব বলে সম্বোধন করেন সুবল। এ নিয়েই জটিলতার সূত্রপাত। প্রথমে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে শো-কজ় করা হয়। নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তিনি জবাব দেননি। এর পর দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমের সামনে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন, সুবল মান্নাকে কাঁথির পুর প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত তাঁকে ইস্তফা দিতে হবে। সেই নির্দেশের পরেও পুরপ্রধানের পদ সামলে যাচ্ছেন সুবল।

গত ২ জানুয়ারি সুবলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন পুরসভার ১৬ জন কাউন্সিলর। নিয়ম হল, ১৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলরদের বৈঠক ডেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে পুরপ্রধানকে। এই পরিস্থিতিতে যা একপ্রকার অসম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে। তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা কাউন্সিলরদের চিঠি পাঠিয়ে দিলেন সুবল। এ নিয়ে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ পন্ডা বলেন, ‘‘সুবল মান্না পুরসভার আইন জানেন না হয়তো। সেই কারণেই এ ভাবে চিঠি দিয়ে কাউন্সিলারদের বিভ্রান্ত করতে চাইছেন। নিয়ম মেনে চেয়ারম্যানকে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে বৈঠক ডাকতে হবে। তিনি সেটা না করলে আইন মেনে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বৈঠক ডাকবেন। তার পর অনাস্থা সংক্রান্ত বিষয়টি আইন মোতাবেক মহকুমাশাসকের হাতে যাবে।’’

সুবল পুরপ্রধান পদ থেকে সরলে কাকে ওই পদে বসানো হতে পারে, এই প্রশ্নে জবাবে পীযূষ বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি। দলের সমস্ত কাউন্সিলার ও রাজ্য নেতৃত্ব একযোগে যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা-ই শিরোধার্য। যাঁকে বেছে নেওয়া হবে, সেই ব্যক্তিই পরবর্তী চেয়ারম্যান হবেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Sisir Adhikari TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy